এক নজরে

Mukul Roy: মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগ মামলা বিধানসভায় পাঠালো হাইকোর্ট

By admin

September 28, 2021

কলকাতা ব্যুরো: মুকুল রায়ের পিএসি-এর চেয়ারম্যান হওয়া সংক্রান্ত মামলা বিধানসভার স্পিকারের কাছে ফেরত পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এক নির্দেশে জানিয়েছে, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগের পদ্ধতি একটা সাংবিধানিক রীতি। ৭ অক্টোবরের মধ্যে স্পিকারকে এই বিষয়টির মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নাহলে আদালত ফের এ বিষয়ে পুনরায় বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷ মামলাকারী অম্বিকা রায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৭ অক্টোবর ফের স্পিকারের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করতে। ৭ অক্টোবরের শুনানিতে মুকুল রায় বিধায়ক থাকতে পারবেন কি না স্পিকারকে এই ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে হাইকোর্ট।

এই মামলায় কার্যত বিধানসভার স্পিকারের মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি না করাকে সমালোচনা করেছে আদালত। কোর্ট উল্লেখ করেছে, মুকুল রায়ের বিজেপি বিধায়ক হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এবং তৎপরবর্তী পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে নির্বাচনে স্পিকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেননি। এমন একজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি দল ছেড়েছেন। সত্যি যদি তাঁর পদ খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তিনি বিধায়ক কি ভাবে থাকবেন? তাহলে চেয়ারম্যান হবেন কি ভাবে?

যদিও মুকুল রায় এখনও খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক, কিন্তু স্পিকার তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়া তালিকা থেকে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করেছেন। কোর্ট মনে করছে স্পিকার কারও অঙ্গুলিহেলনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোর্ট আরও জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে ফয়সালার জন্য মণিপুরের বিধানসভার স্পিকারকে ৩ মাস সময় দিয়েছিল। সেই হিসেবে মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে মামলা করার পর ফয়সালার মেয়াদ ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গিয়েছে। স্পিকার যদি দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী আগেই মুকুল রায়ের বিজেপি বিধায়ক পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে পিএসির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হওয়া নিয়ে এই জটিলতা তৈরি হত না। এ বিষয়ে স্পিকার সংবিধানের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে পারেননি বলেও মনে করছে হাইকোর্ট। তাঁর এই কাজ গণতন্ত্রের পরিপন্থী, মন্তব্য কোর্টের।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালত পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে যে, মুকুল রায়ের বিজেপি বিধায়ক হিসেবে পিএসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ হওয়ায় তাঁকে বিরোধী দলের সদস্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এদিকে এই পদ পাওয়ার আগে থেকে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি স্পিকারের কাছে পড়ে রয়েছে। এটা শুধুমাত্র রীতি লঙ্ঘন করাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্ত্বেও তিনি বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, এটা একটি সাধারণ বেনিয়মের মামলা নয়, এটা পরিষ্কার আইনবিরুদ্ধ কাজ।

উল্লেখ্য, ৯ জুলাই মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁকে সাংবিধানিক রীতি ভেঙে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে, এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলা দীর্ঘদিন শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।