কলকাতা ব্যুরো: বিধান নগরে সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে সোমবার কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এর ফলে বিধান নগরে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক তরজার নতুন ইস্যু বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সল্টলেকের দুটি ওয়ার্ডে সরকারি জমি দখল করে নির্মাণে স্থগিতাদেশ নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এখন থেকে ওই দুই ওয়ার্ডে সব বেআইনি নির্মাণের উপরে ইনজন্সান জারি করা হলো। তার আগে বিধাননগর পুর নিগমের কমিশনারকে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। সেই কমিটি ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলির আগে সরোজমিনে খতিয়ে দেখবে। নাওভাঙা, শান্তিনগর ও নবোপল্লির ওই বেয়ানি নির্মাণ বন্ধে এর আগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।
এদিন একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, নগরউন্নয়ন দপ্তরের সচিবকে টাস্ক ফোর্স গঠন করে বিধান নগর জুড়ে যত সরকারি জমি রয়েছে, সেখানে দখল এবং বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টকে।রাজনৈতিক ভাবে বিধাননগর সম্পর্কে ওয়াকিবহালদের মতে, এই বেয়ানী নির্মাণ ভাঙ্গা আসলে ভোট বাজারে বর্তমানে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা সব্যসাচী দত্ত এবং তৃণমূলের মন্ত্রী সুজিত বসুর রাজনৈতিক কাজিয়ার একটা অংশ। বিধান নগরের একসময়ের মেয়র সব্যসাচী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরেও এখানে কোথায় কি ধরনের বেআইনি হচ্ছে বা মদত দেওয়া হচ্ছে, তার ভালোভাবেই খোঁজ রাখেন সব্যসাচী। আর তাই বেআইনি নির্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অঙ্ক তাই এখানে বড় ইস্যু বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপ ভোটবাজারে যুযুধান দু’পক্ষের তরজার একটা ইস্যু হলেও, তার প্রভাব কতটা পড়বে ভোটের বাক্সে তা এখনো নিশ্চিত নয়।