কলকাতা ব্যুরো: বাবুল সুপ্রিয়, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর মত রাজ্যের এক ঝাঁক রাজনীতিকের ভাগ্য নির্ধারণ হবে চতুর্থ দফার ভোটে। এই দফায় পাঁচটি জেলার ৪৪ টি বিধানসভায় ভোটগ্রহণ করা হবে। ৭৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এই দফায় নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে। তৃতীয় দফার নির্বাচন হয়েছিল অনেকটাই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে।

চতুর্থ দফার যে পাঁচ জেলায় নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলা রয়েছে। যার প্রায় সব কটিতেই গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আগ্রাসন বজায় ছিল। আবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের এই দফায় নির্বাচন হচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই দুই জেলায় বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল বিজেপির। ফলে চতুর্থ দফায় ৪৪ টি আসনের মধ্যে কিছুটা তৃণমূলের এবং কিছুটা বিজেপির আধিপত্য রয়েছে। এই অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও হাওড়ার আসনগুলোর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দুই জেলার জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এবার একদিকে যেমন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে, তেমনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভোটে দাঁড়ানো রাজিব ব্যানার্জি সিঙ্গুরে মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর ভবিষ্যৎ বোঝা যাবে। পাশাপাশি লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিকের মত বিজেপি সাংসদ, বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ায় তাদের দিকেও নজর থাকবে জনতার।
তবে ৪৪ টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফোকাস অবশ্যই টালিগঞ্জ। কারণ সেখানে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এর সঙ্গে টক্কর আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। বেহালা পূর্বে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীর লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে জনতা। বিজেপিতে গিয়েও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে এবার বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। ফলে এই কেন্দ্র যথেষ্টই এবার নজরে থাকবে। অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছাড়ার পর তাকে ডোমজুড়ের মানুষ বিজেপির প্রতীকে গ্রহণ করে, না বর্জন করে, তাও ঠিক হবে এই দফায়। অন্যদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুড়া থেকে এবং উত্তরবঙ্গের নাটাবাড়ি থেকে বিজেপির দোর্দন্ড প্রতাপ নিশীথ প্রামানিককে বিধায়ক হিসেবে মানুষ গ্রহণ করে কিনা, তারও ভবিষ্যৎ ঠিক হবে এই নির্বাচনেই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version