কলকাতা ব্যুরো: এখনই লকডাউন (#Lockdown) পরিস্থিতি তুলে দেওয়ার পক্ষে সায় দিচ্ছেন না চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তার পরামর্শ দাতারা যুক্তি দিয়ে তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন। যদিও নাগরিক সমাজে লকডাউন পরিস্থিতি তুলে দেওয়ার পক্ষে প্রবল দাবি উঠেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখনই বিধিনিষেধ তুলে দিলে করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যেই করোনার(#CoronaThirdWaves) তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে এবং এই ঢেউ নাবালকদের আক্রান্ত করতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও ছোটদের করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এখনো যথেষ্ট কম। এই অবস্থায় সরকারকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আপাতত আরো কিছুদিন বিধি নিষেধ জারি রাখা হোক। তারই মধ্যে যতটা বেশি সম্ভব নাগরিকদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। পাশাপাশি ছোটদের করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো যতটা সম্ভব এগিয়ে রাখা হোক।
না হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর মতই আরও ভয়ংকর রূপে তৃতীয় ঢেউ এলে তা সামাল দিতে লেজে গোবরে হতে হবে। করোনার প্রথম ঢেউয়ে যেমন কিছু উপসর্গ ছিল, দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেইসঙ্গে বড় আকারে দেখা যায় শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে একটা গেল গেল রব ওঠে। একইভাবে তৃতীয় ঢেউ এলে আবার নতুন কোন উপসর্গ দেখা যায়, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।


যদিও রাজ্য সরকার বিধি নিষেধ জারি রাখার ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে কি অবস্থান নেবে সে ব্যাপারে চিকিৎসকরাও এখনো অন্ধকারে। সম্ভবত আজ বিকেলেই নবান্ন থেকে এ ব্যাপারে সরকার তার অবস্থান ঘোষণা করবে। তার আগে এদিন এ নিয়ে আবার পর্যালোচনা বৈঠক করবেন বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার থেকে রাজ্য সরকার বাস-অটো ট্যাক্সি চালিয়ে দিলে বা শপিং মল, হোটেল রেস্তোরা কে পুরোপুরি ছাড় দিয়ে দিলে, তাতে বিপত্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। যদিও রেলের তরফে হাওড়া এবং শিয়ালদা থেকে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজ্য সবুজ সঙ্কেত দেয় নি। একইভাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ যেকোনো দিন ট্রেন চালাতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এখনই স্বাভাবিকভাবে গণপরিবহন, অর্থাৎ বাসের সঙ্গে ট্রেন ও মেট্রো আগের মত চালালে পরিস্থিতি উদ্বেগের হবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

রাজ্যে আর লকডাউন এর মত বিধি নিষেধ থাকবে কিনা সেই আলোচনাতেই গত কয়েকদিন ধরে জনজীবনে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ গত এক মাস ধরে এই লকডাউন এর ফলে একদিকে সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে, কিন্তু পাশাপাশি কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক অবস্থা একটা অংশের প্রবল খারাপ হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী বুধবার থেকে লকডাউন অবস্থা উঠবে কিনা সেই চর্চায় চলছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version