কলকাতা ব্যুরো: নারদ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে লোকসভার সাংসদ দের মতোই রাজ্যের বিধায়ক তথা মন্ত্রীদের কারো কারো ছবি ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেই মামলার তদন্তে এতদিন চার্জ সিট না দেওয়ার কারণ হিসেবে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, প্রায় দেড় বছর ধরে সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে অনুমতি লাগে। কিন্তু লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় এতদিনেও নারদ তদন্তের চার্জশিট জমা দিতে পারা যায়নি। অথচ এই নিয়ে মামলা দায়ের হতেই উঠে এলো নতুন যুক্তি, বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জ সিট দিতেও প্রয়োজন বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি। এত দিনেও সেই অনুমতির আর্জিই জানায়নি সিবিআই, মঙ্গলবার আদালতে শুনানিতে এমন কথাই জানালেন রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোশ মজুমদার।
সাংসদদের বিরুদ্ধে চার্জসিট দেওয়ার জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি চেয়ে আবেদন করার দু বছর পরেও তার ঝুলে রয়েছে বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। কিন্তু কেন বিধায়কদের ব্যাপারে বিধানসভার অনুমতি চাওয়া হয়নি সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট কিছু আদালতে জানায়নি সিবিআই। এদিন প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিত বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে হলফনামা দিয়ে তাদের দেরির কারণ জানানোর নির্দেশ দেয়। সেখানে বিধানসভার বিষয়টিও স্পষ্ট করতে হবে সিবিআইকে।
যদি ও এখন আর এমন মামলায় অধ্যক্ষের অনুমতির কোন প্রয়োজন নেই বলে হাইকোর্টে যুক্তি দেন মামলাকারি কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে তিনি বলেন, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকারের কোনও অনুমতি না নিয়েই এই ধরণের মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট জমা দিতে পারে সিবিআই।
নারদ মামলায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা হয়। সিবিয়ের প্রাথমিক যুক্তি ছিল, লোকসভার স্পিকার এখনও অনুমতি না দেওয়ায় চার্জসিট দেওয়া যায়নি। ভোটের আগে এখন আবার নারদ নিয়ে নাড়া চারায় ফের রাজ নীতির মঞ্চ গরম হাওয়ার আশংকা করছে রাজনৈতিক মহল।