কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা পুরসভায় নতুন করে প্রশাসক বসানো হবে, নাকি নির্বাচনের দিকেই যাওয়ার নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট, সে ব্যাপারে আজ শুনানি হওয়ার কথা দেশের শীর্ষ আদালতে। যদিও এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে যে হলফনামা জমা পড়েছে, তাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, মার্চ মাসে ভোট হলে আপত্তি নেই সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে প্রশাসক না বসিয়ে, ভোটে যাওয়ার নির্দেশ দেবে কিনা সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে। কিন্তু বিজেপি এখন কোলকাতায় পুর ভোটে আগ্রহী কিনা সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মধ্যে। আদৌ আজ শুনানিতে বিজেপি আগ্রহ দেখাবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
বিজেপি এখনই কলকাতায় ভোটের ব্যাপারে আগ্রহী নয় বলেই সূত্রের খবর। তাই আজ শুনানি নিযে খুব বেশি আগ্রহ আছে বলে মনে করছে না দলেরই একটা অংশ। সে ক্ষেত্রে কোনভাবে যদি বিধানসভা ভোটের সঙ্গেই, প্রয়োজন হলে পুরভোট করতে হয়, তাতেও আপত্তি নেই বিজেপির। কারণ বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট হলে সে ক্ষেত্রে খুব বেশি কলকাতায় দাগ কাটার সম্ভাবনা বিজেপির কম বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেটা যদি সত্যি হয়, তার প্রভাব পড়বে আগামী বিধানসভা ভোটে। এখন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের মূলত জঙ্গলমহলের জেলাগুলির পাশাপাশি আর কয়েকটি জেলাতেও যথেষ্টই নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে অমিত শাহের দল। আগে বিধানসভা ভোট না করে তাই এখনই কলকাতা পুরসভার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না এখানকার নিচু স্তরের নেতারা ও। কলকাতায় খারাপ ফল হলে, এর প্রভাব বিধানসভা ভোটে পড়লে সেখানেও ফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তার থেকে কোনভাবে শুনানি কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে অন্তত বিধানসভা ভোটের আগেই কলকাতায় ভোট করার বিষয়টি ঠেকানো যেতে পারে বলে মনে করছে বিজেপির পরামর্শদাতারার। তাই তাদের পরামর্শ, যে কোনোভাবেই হোক সুপ্রিম কোর্টের শুনানি কোন ভাবে অন্তত মাস খানেক পিছিয়ে দিলে, এই যাত্রায় বিধানসভা ভোটের আগে অন্তত কলকাতার পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে না বিজেপিকে। কেননা আগের শুনানিতে বিচারপতিদের যা মুড দেখা গিয়েছে, তাতে যদি রাজ্য সরকার মার্চ মাসে ভোট করার ক্ষেত্রে সম্মতি না জানতো সে ক্ষেত্রে প্রশাসক বসাতো সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু যেহেতু ভোট করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার, তাই আলাদা করে আর প্রশাসক বসানোর ব্যাপারে এখন সুপ্রিম কোর্ট সম্মতি দেবে না বলেই ধরে নিচ্ছে বিজেপির থিংক ট্যাংক। তাই তারা চাইছেন, অন্তত এই যাত্রায় কোনভাবে আদালতকে নতুন নির্দেশ দেওয়া থেকে বিরত রেখে মার্চেই ভোট করার নির্দেশ যাতে দিতে না পারে তেমন কোন একটা পথ খুঁজতে।
Previous Articleচিতা বাঘের হামলায় জখম বন দপ্তরের অফিসারসহ চারজন
Next Article গ্রাম গড়ার পর এবার ভারতের সীমানায় চীনের রেল পথ
Related Posts
Add A Comment