কলকাতা ব্যুরো: নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রাক নির্বাচনে গোলমাল মাথাচাড়া দিচ্ছে। এর আগে শিলিগুড়িতে বিজেপির অভিযানের বিরোধিতা করতে গিয়ে গোলমালে জড়িয়ে ছিল পুলিশ। এমনকি উত্তরবঙ্গে জয়গায় যাওয়ার পথে দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলা হয়। আর এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ডায়মন্ড হারবার সফরকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা দফায় দফায় ঘটলো, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট, রাজ্যের শাসকদলের একেবারে অজ্ঞাতে কোন কিছু ঘটেনি। ডায়মন্ড হারবার রোডের আমতলা, শিরাকোল থেকে ফলতায় যেভাবে রীতিমতো ঝাণ্ডা হাতে একদল লোক রাস্তার ধার থেকে ইট, পাথর, এমনকি কাচের বোতল ছুড়ে মারল বিজেপি নেতাদের গাড়িতে, তাতে আগামী দিনে প্রাক-নির্বাচনী গোলমাল আরো মাথাচাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছেন বর্ষিয়ান পুলিশ অফিসারেরা। তাদের মতে আজ টিভি ক্যামেরায় যেটুকু দেখা গিয়েছে, তাতে যেভাবে গোটা ঘটনা ঘটেছে তাতে পুলিশ দায় এড়াতে পারবে না।
আর জেপি নাড্ডার কনভয় আক্রমণে নেতাদের উপরে হামলার পরে যেভাবে গোটা রাজ্যে বিজেপি কমবেশি অবরোধ বিক্ষোভ শুরু করেছে, তাতে নির্দিষ্ট কোন পকেটে যদি আগামী দিনে পাল্টা মার চলে, তাও খুব অবাস্তব কিছু হবে না বলেই মনে করছেন বর্ষিয়ান পুলিশ অফিসাররা। এদিনের ঘটনাকে অনেকেই তাই আগামী দিনের বড় গোলমালের সূচনা হিসেবেই আশঙ্কা করছেন।
সবচেয়ে বড় কথা, এই গোলমাল মিটে যাওয়ার পর তৃণমূলের নেতারা একের পর এক যেসব মন্তব্য করেছেন আর পুলিশ যা বলেছে তা একেবারেই পরস্পর বিরোধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন মেয় রোডে সমাবেশে বলেছেন, আসলে নিজেরাই এসব গন্ডগোল পাকিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করেছে। আরামবাগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, গণরোষের ফল এটা। আমাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, যদি আমাদের কেউ গোলমাল করে থাকে তদন্ত হলে ব্যবস্থা হবে। রাজ্য পুলিশ দাবি করেছে, বিজেপি নেতারা নিরাপদেই ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে গিয়েছেন। বিক্ষিপ্তভাবে দু একটা জায়গায় কেউ কেউ ইট ছুড়ে থাকতে পারে। কেন এমন ঘটেছে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।ফলে তৃণমূল নেতাদের এমন বক্তব্যে আগামী দিনে আরো বড় গন্ডগোলের ইশারা দেখতে পাচ্ছেন বর্ষিয়ান পুলিশ অফিসাররা। আর তাই তাদের বক্তব্য, এখনই যদি পুলিশ প্রশাসন কড়া না হয়, আগামী দিনে এই গোলমালে পুলিশকেও বড় খেসারত দিতে হবে।