কলকাতা ব্যুরো: বুধবার সাধারণতন্ত্র দিবস। ইতিমধ্যে দেশে সাধারণতন্ত্র দিবসে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দারা। সে কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে রাজধানী দিল্লি-সহ গোটা দেশে। এর মধ্যেই ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী জানাল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে ভারতে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে ১৩৫ জঙ্গি।
সাধারণত জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্য শীতকালকেই বেছে নেওয়া হয়। এবার শীতেও তার অন্যথা হয়নি। তবে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে জঙ্গিদের একাধিক চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। এরপরেও জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। এমনটাই জানা গিয়েছে বিএসএফ সুত্রে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকৃত সীমান্ত রেখা বরাবর ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে বিএসএফ। উপত্যকার সীমান্ত এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত বিরোধী সংগঠনগুলি সাধারণতন্ত্র দিবসে জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএসএফের আইজি জানিয়েছেন, আমাদের কাছে খবর আছে পাক সীমান্তে ১০৪ থেকে ১৩৫ জন জঙ্গি অপেক্ষা করছে অনুপ্রবেশের জন্যে। তিনি আরও বলেন, এই কাজে বেশ কিছু ‘গাইড’ ইতিমধ্যে পাক অধিকৃত অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে।
যদিও গত বছর ভারত-পাক যুদ্ধবিরোধী চুক্তির পর সীমান্ত গুলিগোলা চলা কমেছে। এক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ অবস্থানই নিয়েছে দুই দেশের বাহিনী। তবে জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কার প্রশ্ন ওঠার সেই চুক্তি ব্যহত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পাক সীমান্তের ৯৬ কিলোমিটার অবধি এলাকায় ড্রোন হামলারও আশঙ্কা করছে বিএসএফ। বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, শত্রপক্ষের ড্রোন হামলা রুখতে আমরা আমাদের ড্রোনগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আইজি ডিকে বোরা আরও জানিয়েছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের কথা মাথায় রেখে আগামী দু’সপ্তাহের জন্য হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে পাক সীমান্তে।