কলকাতা ব্যুরো: নতুন বছরে দাপট দেখাচ্ছে শীত। নববর্ষের প্রথমদিনই একধাক্কায় অনেকটা কমেছে বাংলার তাপমাত্রা। রবিবারও সেই পারদ পতন অব্যাহত। সকাল থেকেই কনকনে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু কলকাতা। সঙ্গী হয়েছে মিঠে রোদ্দুর। পিছিয়ে নেই জেলাগুলিও।
করোনা কাঁটার মাঝেই উৎসবের আমেজ। আজ বছরের প্রথম রবিবার। রাজ্যে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি হওয়ার আগে আজ চুটিয়ে মজা করে নিতে চাইছে রাজ্যবাসী। আর এই মরশুমে যোগ্যসঙ্গত করছে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস বলছে, রবিবার শহরের উষ্ণতা কমেছে আরও ২ ডিগ্রি। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪. ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ দিনভর কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হবে। আগামী দু-তিন এই অবস্থা বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আরও নামবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার পারদ।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমেছিল পারদ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা মালুম হতে শুরু করেছে।
তবে শীতের এই ইনিংস লম্বা হবে না বলেই আশঙ্কা মৌসম ভবনের। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বাধাপ্রাপ্ত হবে উত্তুরে হাওয়া। ফলে নতুন সপ্তাহের মধ্যভাগ থেকেই তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। রোদ ঝলমলে আকাশ ঢাকতে পারে মেঘ ও কুয়াশার চাদরে। তবে তার আগে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝোড়ো ব্যাটিং করবে শীত।
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, রোদ ঝলমলে আবহাওয়া উত্তুরে-ও। পর্যটকে ঠাসা শৈল শহর দার্জিলিং থেকেই দেখা মিলছে তুষারশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার। সঙ্গে কাঁপুনি ধরাচ্ছে শীতল হাওয়া-ও। তুষারপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।