কলকাতা ব্যুরো : মা তারাকেই দূর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী রূপে পূজো করা হয় তারাপীঠ মন্দিরে। দূর্গা পূজার সময় খুব ধুম ধাম করে পূজিত হন তারা মা। এই উপলক্ষে প্রত্যেক বছর মহাযজ্ঞ হয় তারাপীঠ মন্দিরে।

বিশ্বশান্তির জন্য এই চতুর্মুখী যজ্ঞের আয়োজন হয়। নয়টি কলসী করে বাদ্য সহকারে জল আসে দ্বারকা নদী থেকে। নাটমন্দির চত্বরে হয় কুমারী পূজার আয়োজন। চণ্ডীপাঠ চলে। নরণারায়ন পুজোর সঙ্গে সঙ্গে বস্ত্র বিতরণ হয়। বহুদিন ধরে চলে আসছে এই পূজো।

এ ছাড়াও মন্দির সংলগ্ন একটি অঞ্চলে আছে ডালবাড়ি। এখানে অষ্টমী ও নবমীর দিন দূর্গা পুজোর প্রচলন আছে। এই ডালবাড়ির পূজো প্রথম শুরু করেন বামাখ্যাপার গুরুদেব মক্ষদানন্দ বাবা। ১৮৬০ সালে মন্দিরের পিছনে গাছের একটি ডাল পুঁতে দূর্গা পূজা শুরু করেছিলেন তিনি। তবে এই পূজো শুধু দুদিন হয় মাত্র। অষ্টমী ও নবমীর দিন। মন্দিরের সেবায়েত ও লেখক প্রবোধ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের মতে এই পুজোর উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতিদেবী কে মাতৃরূপে পূজো করা। এখনও সেই রীতি প্রচলিত আছে।

তারাপীঠ মন্দিরে যখন হোম যোগ্য, বলি চলে তখন একই সঙ্গে তারাপীঠ মন্দিরের পিছনে ডাল বাড়িতে ও প্রকৃতি মাতা রূপে দেবী দুর্গাকে পূজো করা হয় প্রতি বছর। তারাপীঠ সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকে প্রচুর জনসমাগম হয় এই উপলক্ষে। আর তারাপীঠ মন্দির চত্বর তখন বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা করে বলে ওঠে ” য়া দেবী সর্বভূতেষু শান্তি রুপেনো সংস্থিতা”।