কলকাতা ব্যুরো: আফগানিস্তান এখন তাদের৷ মঙ্গলবার প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে সবাইকে ক্ষমা করার বার্তা দিলেন তালিবান গোষ্ঠীর মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ। সাংবাদিকদের তিনি যখন তালিবানের মনের কথা বলছেন, তখনও আতঙ্কিত মানুষজন ঘরবন্দি, নয়তো দেশ ছাড়ার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বিশেষত মেয়েরা ৷ অন্য দেশগুলি তাদের নাগরিক-কর্মীদের উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি বিমান পাঠাচ্ছে আফগানিস্তানে ৷
সেইসময় মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ বিশ্বকে জানাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই ৷ তাদের শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী সবাইকে ক্ষমা করেছে ইসলামিক এমিরেটস ৷ অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতগুলির নিরাপত্তা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ৷ তারা সুরক্ষিত থাকবে আফগানিস্তানে ৷
তিনি আশ্বস্ত করেন, দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবনযাপনের মানও উন্নত হবে ৷ নারীর অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে তারা বদ্ধপরিকর ৷ তবে তা শরিয়াতের শর্ত মেনে ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মহিলাদের যেখানে প্রয়োজন হবে, যেমন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং অন্য ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করতে পারেন তাঁরা ৷ তবে শরিয়ত মেনেই কাজ করতে পারবেন। যদিও, তথ্য কিন্তু ঠিক উল্টোটা জানাচ্ছে৷ মহিলাদের উপর অত্যাচারের জন্য তালিবানরা বিশ্বখ্যাত ৷ অন্য দেশগুলি তাদের এই নিয়মকে মান্যতা দিক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই আর্জি জানালেন তালিবান মুখপাত্র ৷ তারা মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিয়মকানুন প্রণয়ন করেছে ৷ তারা বিশ্বের অন্য কোনও দেশের কাছে বিপজ্জনক নয় বলে আশ্বাস দিলেন জাবিহউল্লাহ ৷
ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ জানিয়েছেন যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব আপাতত তিনি সামলাবেন ৷ টুইটারে তিনি জানান, আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী দেশের রাষ্ট্রপতি মারা গেলে বা ইস্তফা দিলে, পালিয়ে গেলে, অথবা তাঁর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি “কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট” হন ৷ আমি এখন দেশের ভিতরেই আছি আর আমি আইনত কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট ৷ সব নেতাদের সমর্থন আর সম্মতি পেতে আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি ৷”
কিন্তু, এখন প্রশ্ন উঠছে অতীতের তালিবানরা কি এতটাই পাল্টে গিয়েছে ? অনেকে, বিশেষত মহিলারা একেবারেই বিশ্বাস করতে পারছে না তাদের ।