কলকাতা ব্যুরো: অবশেষে ২০ বছরের মার্কিন সেনা অভিযানের অবসান ৷ সোমবার মধ্যরাতে আমেরিকার শেষ এয়ারক্রাফ্ট আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ে ৷ আর তারপরেই হঠাৎ গুলির শব্দ ৷ না কোনও হামলা নয় ৷ তালিবানদের উল্লাস ৷ আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের পরই শূন্যে গুলি চালিয়ে আফগানিস্তানে নিজেদের শাসন কায়েমের কথা যেন আরও একবার ঘোষণা করল তালিবানরা ৷
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি টুইটে জানিয়েছেন, গত ১৭ দিনে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এয়ারলিফ্ট সম্পন্ন করেছে আমাদের সেনা ৷ তুলনাহীন সাহস, পেশাদারিত্ব, সঙ্কল্পের সঙ্গে তারা এই কাজ করেছে ৷ এবার আফগানিস্তানে ২০ বছরের সেনা-অবস্থানের অবসান হলো ৷
আন্তর্জাতিক একটি সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার মধ্যরাতের একটু আগে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেষ ইউএস সি-১৭ এয়ারক্রাফ্ট উড়ে যায় ৷ ওই বিমানে ওঠা আমেরিকার সর্বশেষ সেনা ছিলেন ক্রিস ডোনাহিউ ৷ এরপরই কাবুলের একটি অংশ গুলির শব্দে মেতে ওঠে ৷
একটি সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন কেন্দ্রীয় কম্যান্ড-এর প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি এই সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে বলেন, আমি আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ করার কথা ঘোষণা করছি ৷ আমেরিকার নাগরিক এবং আফগানদের উদ্ধার করার সামরিক অভিযান শেষ হল ৷ ৩০ আগস্ট ৩টে ২৯ মিনিটে (স্থানীয় সময়) হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে শেষ সি-১৭ বিমান রওনা দিয়েছে ৷
অন্যদিকে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ একটি টুইটে জানিয়েছেন, আমেরিকার শেষ সেনারা আফগান সময় অনুযায়ী রাত ৯টার সময় কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷ আমাদের দেশ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করেছে ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই সেনা প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল ৷ তবে তার আগেই সোমবার মধ্যরাতের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের অভিযান শেষ করে আমেরিকা ৷