কলকাতা ব্যুরো: তালিবানের শাসন মেনে নিতে চায়নি আফগানিস্তানের খোস্ত শহরের বাসিন্দারা। আর সেই কারনেই এবার এই শহরে কার্ফু জারি করল তালিবান। এই কট্টরপন্থী সংগঠনের দাবি, এই শহরে দাঙ্গা এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতেই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের কথায়, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ রোধেই এই পদক্ষেপ তালিবানের।
প্রসঙ্গত, কাবুল দখলের পরেই ‘উদারতা’-র বাণী শোনা গিয়েছিল তালিবানের কণ্ঠে। কখনও তাঁরা জানাচ্ছিলেন, মেয়েদের কাজ করা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই, আবার কখনও বলছিলেন, ‘সকলকে ক্ষমা করতে প্রস্তুত’। কিন্তু দিন দিন প্রকাশ্যে আসছে তালিবানের আসল চেহারা। আফগানিস্তানের এই শহরে সাধারণ মানুষ তালিবানের বিরোধিতা শুরু করেছিলেন। আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিলও করেছিলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সেখানে কার্ফু জারি করে তালিবান। শহরজুড়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তালিবানের সুরক্ষা বাহিনী। লুঠ, দাঙ্গা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। দু-দশক বাদে আফগানিস্তানে ফের তালিবান রাজ শুরু হয়েছে। অতীতের তালিবান শাসনের ভয়ঙ্কর স্মৃতির কথা মাথায় রেখে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন আফগানরা। বিশেষত আফগান মহিলারা সবচেয়ে বিপদে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কায় বিভিন্ন মহল।
যদিও মঙ্গলবার তালিবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা চাই না কেউ দেশ ছেড়ে যাক। দেশজুড়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ কাউকে অপহরণ করতে পারবে না। দিন দিন কাবুলের সুরক্ষা আরও বাড়ানো হবে। আমাদের দেশ ২০ বছর আগেও মুসলিম রাষ্ট্র ছিল, আজও মুসলিম রাষ্ট্র রয়েছে। আফগানিস্তানে কী নিয়ম কানুন লাগু করা হবে তা সরকার গঠনের পর বোঝা যাবে। তালিবান সরকার গঠনের জন্য সচেষ্টভাবে কাজ করছে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানানো হবে। সমস্ত বর্ডার এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
যদিও আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ জানিয়েছিলেন, তিনিই আপাতত দেশের কার্যনির্বাহী প্রেসি়ডেন্ট। রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, পঞ্জশির গর্জ এলাকায় আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধ করছে আমরুল্লাহ সালেহর নেতৃত্বাধীন সেনা। এই সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ‘আমরুল্লাহ সালেহর নেতৃত্বাধীন সেনা ইতিমধ্যেই পারবান প্রদেশের চারিকা এলাকায় দখল নিয়েছে।’