কলকাতা ব্যুরো: দেশে ফের মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক! এবার হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলায় সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খোঁজ মিলল। শুক্রবারই ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে যে তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন কি না।
ওই ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। আপাতত তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সোলান জেলার বাড্ডি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির শরীরে ২১ দিন আগে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ধরা পড়ে। জ্বরের পাশাপাশি গায়ে ফুসকুড়িও দেখা দেয়। এক চিকিৎসকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনে সে খবর পৌঁছয়। তিনি বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তা সত্ত্বেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে
আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আশপাশের এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ৭০টি দেশে ১৭,৮০০টি মাঙ্কিপক্স কেস শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২ অগস্টের মধ্যে ৮০টি দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৭ হাজার। জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছর আফ্রিকায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের কারণে। যদিও আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি থেকে শুরু হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও জায়গায় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে জ্বর হলে, প্রথমে বসন্ত রোগের মতোই একটি দুটি করে গুটি দেখা যায় শরীরে। এক থেকে তিন দিন পর তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে৷