কলকাতা ব্যুরো: তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের যৌন হেনস্থা এবং নির্যাতন বন্ধে আইনের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি শরোদ অরবিন্দ বোবদের বেঞ্চে। তিন সদস্যের বেঞ্চ এই মামলাটিকে যথেষ্ট প্রয়োজনীয় মামলা বলে মনে করেছে।
ভারতীয় আইনে সবক্ষেত্রেই পুরুষ এবং নারীর অধিকার রক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোন আইনে সুযোগ সুবিধা নেই। মামলার আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, এর ফলে ওই মানুষেরা বঞ্চিত হচ্ছেন নিজেদের অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধার থেকে। রাষ্ট্র কখনোই লিঙ্গের ভেদাভেদে মানুষের অধিকার বা সুযোগ কেড়ে নিতে পারে না বলে দাবি করেন আইনজীবী। তাতে সংবিধানের ১৪ থেকে ১৬ এবং ২১ ধারা লঙ্ঘিত হয়।
আইনজীবীর বক্তব্য, সংবিধানের ২১ ধারায় যে রাইট টু লাইফ’ এবং রাইট টু লাইভ উইথ ডিগনিটি র কথা বলা হয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য আইনে সুরক্ষার কোন আলাদা ধারা নেই। এর ফলে তারা যৌন নির্যাতিত হলেও পুরুষ বা মহিলাদের মতো আইনী সহায়তা তারা পাচ্ছেন না। এই অবস্থাতেই আইনের বদলানোর দাবিতেই এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গেই বিচারপতির সঙ্গেই এ এস বোপন্না ও ভি রামাসুব্রামানিয়াম এই বিশেষ বেঞ্চ রয়েছেন। এ দিন শুনানির শুরুতেই আবেদনকারী বর্ষিয়ান আইনজীবী বিকাশ সিংকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, কতবার আদালত এই ধরনের মামলায় হস্তক্ষেপ করবে। এর আগে বিশাখা গাইডলাইন বা ৩৭৭ ধারা ইস্যুতে যেমন হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। যদিও তারপরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা খুব ভালো মামলা।