কলকাতা ব্যুরো: সি এ এ বিরোধিতায় দেশের আন্দোলনে ভরকেন্দ্র হিসেবে রূপ পাওয়া শাহীনবাগ ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজ পাবলিক প্লেসে আন্দোলন করা যায় কিনা, করা গেলেও তা কতটা করা যায়, সে ব্যাপারে এক ঐতিহাসিক রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি বেঞ্চ এই রায় দিতে চলেছে। ২০১৯ এর ডিসেম্বর শাহীনবাগে আন্দোলন শুরু হয়।
করোনা আবহে লকডাউন শুরুর পর চতুর্দিকের চাপে শাহীনবাগ থেকে ভিড় কমলেও, প্রতীকী আন্দোলন চলছিল। মার্চের শেষ দিকে তা শেষ দিকে পুলিশ তার সরিয়ে দেয়। জনসমক্ষে অধিকার রক্ষায় আন্দোলন কতটা করা যায়, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন এক আইনজীবী। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলে, আন্দোলনের অধিকার অবশ্যই সবদিকে ব্যালেন্স দেখে করা উচিত। কারণ আন্দোলনের অধিকার যেমন আছে, তেমন মানুষের যাতায়াতের অধিকার রয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্র আন্দোলন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একজন পথচারী রাস্তা দিয়ে যেতে পারবেন না, আন্দোলনের জন্য সেটাও কি হতে পারে? যেখানে সেখানে আন্দোলনের জন্য পথ বন্ধ থাকা বাঞ্ছনীয়? আদালতের বক্তব্য, একটা সামঞ্জস্য থাকা জরুরী। এই পর্যবেক্ষণ এর উপরে আজ রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
শাহীনবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেখানেও এই রায়ের আগামী দিনে প্রভাব পড়বে। সর্বত্রই একটা সামঞ্জস্য রাখা প্রয়োজন হতে পারে আন্দোলনের। একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলির এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কথায় কথায় মিটিং-মিছিলের নামে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে রাখে। তা আগামী দিনে আইনত কতটা করা যাবে তাও নির্ভর করবে আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর।