এক নজরে

দূষণ নিয়ন্ত্রণে দিল্লিতে লকডাউনের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

By admin

November 14, 2021

কলকাতা ব্যুরো: দূষিত দিল্লিতে এখনই লকডাউনের পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যেভাবে দিল্লির বাতাস ভারী হয়েছে, তাতে বাড়িতে মাস্ক পড়ে থেকেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্ন। একদিকে দিল্লি দূষণ, আর অন্যদিকে বাজির দূষণ নিয়ে দুটি মামলার শুনানি করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ দু’টি মামলাতেই কেন্দ্রকে এখনই দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নির্দেশ দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, প্রয়োজনে দু-তিনদিন লকডাউন করা হোক দিল্লিতে।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের মনোভাব বুঝে বিকেলেই দিল্লি সরকার আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেখানকার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৈঠকের পর জানিয়েছেন, করোনা আবহ কাটিয়ে দু সপ্তাহ আগেই স্কুল খোলা হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে দূষণ বাড়ছে এবং সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগ দেখে, বাচ্চাদের শরীরের কথা মাথায় রেখে, সোমবার থেকে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য ফিজিক্যালি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করা হচ্ছে। তবে অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে।এদিন সুপ্রিম কোর্ট দূষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেয়। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, পাঞ্জাবে যেভাবে ধানের খড় পোড়ানো হচ্ছে, তার ফলেই দূষণ বাড়ছে। এই বিবৃতিতে স্পষ্টতই বিরক্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, কেন্দ্র বিষয়টিকে অযথা অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ পাঞ্জাবের খড়ের আগুনে দূষণ হতে পারে। কিন্তু দিল্লিতে তাহলে কেন দূষণ হচ্ছে? ৮০% দূষণ হয় গাড়ির ধোঁয়া, বাজির ধোঁয়া থেকে। সেগুলো কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এদিন আরেক বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, সকাল সাতটার সময় বাতাসে যে দূষণ ছড়াচ্ছে, তাতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুলে যাওয়া পড়ুয়াদের। এমনিতেই এইমসের ডিরেক্টর সম্প্রতি বাচ্চাদের দূষণ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় দিল্লি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, এটা একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। দিল্লির বুকে এত দূষণে নাগরিকের প্রবল সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তার স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ করা হচ্ছে না কেন?সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যে অবশ্য সরাসরি কোনো সমাধানের রাস্তা দেখাতে পারেনি কেন্দ্র। এদিন এই তিনটি মামলায় শুনানি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।খড়ের গাদার দূষণ নিয়ে বহু আগে থেকেই আলোচনা-সমালোচনা ছিল। গত বছর এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খড়ের গাদা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে গাড়ির ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন গোটা দেশের দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।