কলকাতা ব্যুরো: কুলতলীর বৈকন্ঠপুর গ্রামে না পাওয়া গেলেও, অবশেষে তিনি ধরা দিলেন আজমল মাড়ির জঙ্গলের গায়ে বনদপ্তর এর পাতা ফাঁদে। বৃহস্পতিবার সকালেই একটি বাঘ ধরা পড়ে বৈকন্ঠপুর গ্রামের নদীর উল্টো পিঠে আজমলমারি জঙ্গলে। পাঁচ- ছ’ বছর বয়সের বাঘটিকে শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে সবুজ সঙ্কেত দিলেই বাঘটিকে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার নদী পেরিয়ে একটি বাঘ ঢুকে পরে বৈকন্ঠপুর গ্রামে। এক বাড়ির গোয়ালে ঢুকে একটি গরুকে মারার পর সেটি রাস্তার উপরে শুয়ে থাকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে। নদী বাঁধের রাস্তায় শুয়ে থাকার পর ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিল গ্রামের মধ্যেই জঙ্গলে। বুধবার সেটিকে ফের নদী পেরিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। যদিও গ্রামে বাঘের খোঁজে ড্রোন নামানো হয়। কিন্তু ড্রোন প্রায় দু’ কিলো মিটার ঘুরেও বাঘের সন্ধান পায়নি।
তাতেও সন্তুষ্ট না হয় বনদপ্তর বুধবার রাতেই আজমল মাড়ির জঙ্গলের গায়ে তিনটি খাঁচা পাতে। আর তার একটিতেই বৃহস্পতিবার সকালে ধরা পড়ে বাঘটির। কোন কারনে জঙ্গলের ধারে নাইলনের নেটের ফাক দিয়ে নদী পেরিয়ে বাঘটির গ্রামে ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করছেন বনদপ্তরের কর্তারা।