কলকাতা ব্যুরো: সুন্দরবন কোস্টাল থানায় রবিবার সকাল থেকে হামলা এবং পুলিশকর্মীদের জখম করার পর এখন ক্ষোভে ফুঁসছেন নিচু তলার কর্মীরা। থানার মধ্যেই যদি পুলিশকর্মীরা এভাবে বিনা প্ররোচনায় আক্রান্ত হন, তাহলে তাদের থেকে সাধারণ মানুষ ভরসা পাবেন কি করে? এই প্রশ্ন তুলে নিচু তলার পুলিশকর্মীরা চাইছেন, শুধু যারা সামনে এসে ভাঙচুর বা হামলা করেছে তারাই নন, তাদের মদ ত দাতাদেরও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পুলিশকর্মীদের আরও অভিযোগ, আলিপুর থানা বা কলকাতা শহরের অন্যান্য থানায় এমন হামলার ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে পুলিশ কর্তারা যেভাবে পদক্ষেপ করেন, জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় থানায় এই হামলা হলো বলেই কী তাতে তেমন কোনো তাপ উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না রাজ্য পুলিশের কর্তাদের? ফলে তারা এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছেন। পুলিশকর্মীদের অনেকেই চাইছেন তাই যেকোন ভাবে হোক এই থানা থেকে বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে।
এদিন বিকেল থেকে পুলিশ পাল্টা ধরপাকড় শুরু করে। গোসাবার যে রাধানগর- তারানগর গ্রামের অভিযুক্তদের থানা থেকে ছাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।
এই হামলার ঘটনায় নিয়ে রাত পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত ১২ জন কর্মী ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা হচ্ছে।
তৃণমূল বিধায়ক গোটা ঘটনায় তাদের সমর্থকদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেও, পুলিশের একাংশের অভিযোগ, শনিবার রাধানগর গ্রামে বিজেপি -তৃণমূল গোলমালে শাসক দলের সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদেরই এদিন সকালে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হামলা হয়। যদিও জেলা পুলিশের কর্তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।
তবে থানায় এসে এমনভাবে কয়েকশো লোকের হামলার ঘটনায় নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।