কলকাতা ব্যুরো: সুন্দরবনের গ্রামে বাঘের অস্তিত্ব জানতে এবার ড্রোন উড়লো গ্রামে। প্রায় দু কিলোমিটার আকাশপথে ঘুরেও কুলতলির গ্রামে বাঘের অস্তিত্ব পায়নি ড্রোন। অবশ্য বাঘ কি করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুলতলির বৈকুন্ঠপুর গ্রামে ঢুকে গরু মেরে রাস্তায় শুয়ে থাকা বাঘ, এদিন ভোর বেলাতেই নদী পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে জঙ্গলে। কেননা মঙ্গলবারের ঘটনার পর এদিন ভোর রাত থেকেই বৈকন্ঠপুর ও তার আশপাশের এলাকার গ্রামগুলিতে নাজাদারী ছিল। যে জঙ্গলে বাঘ আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেখানে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। বসানো হয় বাঘ ধরার জন্য খাঁচা।এরইমধ্যে নদীর পাড়ে কাজকর্ম করা কিছু গ্রামবাসী প্রায় মাঝ নদীতে একটি বাঘকে পেরিয়ে যেতে দেখেন। হইহই করে তখন মোটর বোট নিয়ে তার পিছে গিয়ে গ্রামবাসীরা বোঝার চেষ্টা করেন। এই বাঘিনী মঙ্গলবার বৈকুন্ঠপুর গ্রামে ঢুকে পড়া তিনি কিনা। কেউ কেউ বলেন এই বাঘিনী সেইটি, কেউবা আবার দ্বিমত পোষণ করেন।এরইমধ্যে বনদপ্তর তন্ন তন্ন করে খুঁজে ফেলেছে গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গল। কিন্তু তার দেখা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ওড়ানো হয় ড্রোন। গ্রামের ওপর দিয়ে উড়তে উড়তে নদী পেরিয়ে আজমলমারির জঙ্গল ছুয়ে ফের তাকে ফিরিয়ে আনা হয় গ্রামের মাঠে। কিন্তু সেই পর্যন্ত কোথাও বাঘের টিকিও খুজে পাওয়া যায়নি। ফলে সব মিলিয়ে আপাতত স্বস্তিতে বৈকন্ঠপুর গ্রাম।এর আগে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে জঙ্গলের মধ্যে মাওবাদীদের গতিবিধি জানতে ড্রোন উড়েছে। কলকাতা শহরে উৎসবে বা কোনো সমাবেশের ভিড় বুঝতে ড্রোন ওড়ানো ইয়েছে। কিন্তু বাঘের ঠাহর পেতে এবার সুন্দরবনের মানুষ প্রত্যক্ষ করলো ড্রোনের ওড়া।