কলকাতা ব্যুরো : চিটফান্ড কাণ্ডে যাদের জেলে থাকার কথা ছিল সেই মমতা ব্যানার্জি ও অমিত শাহ সবাই চুপ করে রয়েছে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে। এমন ভাবেই তৃণমূল এবং বিজেপিকে আক্রমন করে বসলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। আম্ফান দুর্নীতির জন্য ক্যাগ ( সি এ জি ) তদন্তের রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুজন বাবু জানান নারোদা এবং সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল নেতাদের জেলে থাকার কথা। কিন্তু অমিত শাহ এবং মমতা ব্যানার্জি, সি বি আই ষাট করে সব ধামাচাপা দিচ্ছেন। সুজন বাবু আরো বলেন সিএজি তদন্ত হলে অনেক তৃণমূল নেতাদের জেলে যেতে হবে এবং তাদের জেলে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন সিপিএম দল।
সিপিএমের পক্ষ থেকে সুজন বাবু আরও বলেন আম্ফান ঝড়ের পরে দুর্নীতি পাহাড়প্রমাণ। এটা সিপিএম বারেবারে বলেছিল। সিপিএম থেকে জানানো হয়েছিল সরকার সুযোগ নিয়ে লুটের বন্দোবস্ত করছে। তিনি বলেন পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন স্তরে শুধু লুট হচ্ছে। এই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির কথা হাইকোর্টের অর্ডার এ আজ স্পষ্ট হয়ে গেল বলেও সুজনবাবু মন্তব্য করেছেন। দুর্নীতির বহর এতটাই বেশি – ইধার কা মাল এতটাই উধার হয়েছে যে তৃণমূলের ঘরে এই ব্যবস্থায় ফান্ড জমেছে। লুঠের বহর এত বেশি যে কোর্টকে বলতে হয়েছে যে বহরের পরিমাণ কত তা জানার জন্য সিএজি তদন্ত হোক। এখানে কে কে দায়িত্ব ছিল তার হিসাব করতে দেওয়া হয়েছে ক্যাগকে। বলে দেওয়া হয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল অডিট করতে এবং পারফরম্যান্সের অডিট করতে। কোথাকার টাকা কোথায় গেল সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
এছাড়াও সুজনবাবু বলেন কার কি দায়িত্ব ছিল সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে। সিএজি রিপোর্টের পর প্রত্যেকটা কেস সিপিএম খুঁজে খুঁজে বের করবে সে প্রধানই হোক বা অফিসার ই হোক এবং প্রত্যেককে জেলে যেতে হবে বলেও তিনি আজ মন্তব্য করেছেন।