কলকাতা ব্যুরোঃ ছওিসগড়ের তরুনীকে একাধিকবার নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরাধীদের মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও ছওিসগড় থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ মাধ্যম জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন। তরুণীর আত্মহত্যার পর তদন্ত করে তিন রাজ্যের ৮ বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি সম্মুখে আসে ছওিসগড়ের বাসিন্দা ওই তরুণী অপহৃত হওয়ার পর। তরুণীর বাবা পেশায় একজন কৃষক ছিলেন, তরুণী তার বাবাকে মাঠের কাজে সাহায্য করতেন। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন কাজের সন্ধান করতে। সেখান থেকেই সেই তরুণীকে অপহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করে। তরুণীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানান, অপহরণকারীরা বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করে না হলে মেয়েকে হত্যা করে দেবে বলে জানায়।
পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, তরুণীর যে আত্মীয়রা বাড়ি থেকে কাজ দেবার প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে নিয়ে এসেছিলেন, তারাই পরে ২০ হাজার টাকা লোভে বিক্রি করে দেয় ওই তরুণীকে। তরুণীর আত্মীয়রা যেই ক্রেতার কাছে তরুণীকে বিক্রি করে সেই ক্রেতা আবার পরে ৭০ হাজার টাকায় তরুণীকে বিক্রিত করেন। তারপর বাবলু কুশাওয়াহ নামে এক বিশেষ ভাবে সক্ষম যুবকের কাছে তরুণীকে জোর করে বিক্রি করে দেওয়া হয়।এর পরও ৪ বার বিক্রি করা হয় ওই তরুণীকে।
পুলিশ তদন্ত করে জানায়, মোট সাত মাসে সাত বার বিক্রিত করা হয় ওই তরুণীকে। এই দীর্ঘ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গত সেপ্টেম্বর মাসে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। পুলিশের সন্দেহ, এই নারী পাচারের ঘটনাটি হিমশৈলের চূ়ড়া মাত্র। ছত্তিসগড় ও মধ্যপ্রদেশের একাধিক আদিবাসী গ্রাম থেকে প্রায়ই নারী পাচারের ঘটনা ঘটছে। সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।