কলকাতা ব্যুরো: তিনি হঠাৎ এলেন। বললেন। আবার চলে গেলেন। মাঝের কুড়ি মিনিটে তার যাবতীয় ধ্যান-জ্ঞান, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুঃখ-শোক — সবটাই করনাকে কেন্দ্র করে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সপ্তাহ তিনেক ধরে সারা দেশ যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা বুঝতে পেরে চারিদিকে গেল গেল রব, তিনি তখন লোকাল ট্রেনের ডেলি প্যাসেঞ্জার এর মত দিল্লি আর কলকাতা ছুটে বেড়াচ্ছেন। আর দিদি ও দিদি ডাক দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে বাজার গরম করছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাত পৌনে নটায় তিনি হঠাৎ উদয় হলেন জাতিকে কিছু বলার জন্য।তার ঘন্টা খানেক আগেই চারিদিকে রটে গেল আবার তিনি টিভির সামনে আসছেন। ফলে আবার শুরু হয়ে গেল মানুষের মধ্যে কৌতুহল, আতঙ্ক, হাসাহাসি। একটা কিছু ঘটবে বলে ধরে নিয়ে উৎকণ্ঠা জারি থাকলো। চলল আলোচনা। তিনি অবশ্য যা বললেন, তা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষ, গোটা দেশবাসী বলে চলেছে সেই কথাই। কিন্তু তিনি যে প্রধানমন্ত্রী। তাই তার বক্তব্য শোনার জন্য উৎকণ্ঠায়, অপেক্ষায় ছিল দেশ।
তার বক্তব্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যথেষ্টই উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাষ্ট্রের। অক্সিজেনের অভাব রয়েছে, রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা। একইসঙ্গে রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক দের আতঙ্ক। সবক্ষেত্রেই তিনি শুধু আশ্বাস দিলেন। আর লকডাউন কে করোনা প্রতিরোধের শেষ অস্ত্র বলে ধরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন। বললেন, খুব জরুরী কাজ না থাকলে মানুষ যেন পথে না বেরোয়। ছেলেদের পরামর্শ দিলেন, বাড়িতেই সবকিছু রেডি রাখতে যাতে পরিবারের লোককে বাইরে বেরোতে না হয়। যুব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানালেন, প্রতিবেশীকে সাহায্য করতে। রাজ্য সরকার গুলিকে পরামর্শ দিলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের যেন ঘরে ফিরতে না হয়, তাদের যাবতীয় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা এবং কাজের ব্যবস্থা করারও পরামর্শ দিলেন রাজ্যকে। কুড়ি মিনিটের ভাষণ শেষে তিনি টিভি ক্যামেরার সামনে থেকে সরে যেতেই বাংলায় আবার প্রশ্ন উঠলো, তার যে চারটে সভা এখনো বকেয়া রয়েছে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য তার কি হবে?! সেখানে যদি মানুষ যায়, সেটা কি জরুরী প্রয়োজনে যাওয়া হবে। এমন নানা কথা, প্রশ্ন, টীকাটিপ্পনী চলতে থাকল শনিবার রাত পর্যন