এক নজরে

ঠোঁট কাটা সুব্রতর ছিল ভূতের ভয়ও

By admin

November 05, 2021

কলকাতা ব্যুরো: শুধু রাজনীতিক নন, নানান কারণে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এক জীবন্ত চরিত্র। যিনি সারা জীবন রাজনীতি করে গেলেও, রাজনীতিকের ডিপ্লোমেসি তার ছিল না। আবার আমজনতার মতই ভূতের ভয় ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায় সারা জীবনের সঙ্গী। সবচেয়ে বড় কথা, কোন কিছুই তিনি লুকোতেন না ইমেজ বাঁচাতে। তাই হয়তো রাজনীতিক হলেও, সুব্রত মুখার্জি ছিলেন অরাজনীতির লোকেদেরও বড় পছন্দের।

কংগ্রেসের ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা প্রিয়- সুব্রত আর সামান্য পিছনে থাকা সোমেন মিত্র জুটির আজ তিনজনই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন। রাজনীতি নিয়ে প্রিয় সুব্রত সম্পর্কে নানান গল্পকথা ছড়িয়ে আছে। আবার ব্যক্তি সুব্রত হলেন গল্পের খনি। বরাবরের আলটপকা মন্তব্য করায় অভ্যস্ত সুব্রত মুখার্জি। সে কারণেই অনেক সময় তার এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন। কিন্তু সুব্রত রাজনীতির মঞ্চে নিজস্ব কারিশমায় বরাবরই উতরে গিয়েছেন। কংগ্রেস রাজনীতিতে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তার নানান মন্তব্য, আলোচনার বিষয় ছিল। শোনা যায় তিনি নাকি বলেছিলেন, বাজার করো ঘুরে ঘুরে, মমতা কর দূরে দূরে। আবার সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে বাংলা রাজনীতিতে সিপিএম ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে তরমুজ বলে দেগে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রার।তার মুখে রসিকতার ছলে আলটপকা মন্তব্য নিয়েই একটা উপন্যাস হতে পারে, বলছিলেন এক রাজনীতিক। ক্ষমতায় থাকার জন্য যা বলা উচিত নয়, তা বলে ফেলতেন অনায়াস, অকপটে, অবলীলাতেই। তার ওই ভাঙ্গা গলা ছিল তার অন্যতম আইডেন্টিটি।

এদিন তার মৃত্যুর পর সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর ভূতের ভয় পাওয়া নিয়ে স্মৃতিচারণ করছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুব্রত ভুতের এতটাই ভয় পেতেন যে রাতে কোথাও বাইরে গেলে আলো জ্বালিয়ে ঘুমাতেন। একাধিকবার আড্ডার ছলে কলকাতার কোন কোন বিল্ডিংয়ে ভূত আছে তার ঠিকুজি-কুষ্ঠি বলে দিতেন। আবার নিজে কোথায় কোথায় গিয়ে ভূতের ভয় পেয়েছেন, তাও বলতেন হাসতে হাসতে। সেই ভূত বাতিকে আচ্ছন্ন সুব্রত ভূত চতুর্দশীর পরের দিনই বিদায় নিলেন পৃথিবী থেকে।