কলকাতা ব্যুরো: বিধানসভা ছিল তাঁর অন্যতম কর্মস্থল। যেখানে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত গিয়েছেন বিধায়ক হিসেবে। মাঝে হার দেখতে হয়েছে কিন্তু কখনও বালিগঞ্জ, কখনও জোড়াবাগান, কখনও চৌরঙ্গী প্রত্যেক বিধানসভায় ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
কখনও কংগ্রেস, কখনও এনসিপি আবার আমৃত্যু তৃণমূলের বিধায়ক হয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
তাই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ শুক্রবার রবীন্দ্র সদন থেকে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান একে একে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিভিন্ন বিধায়ক ও মন্ত্রীরা।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় একজন কর্মযোগী বিধায়ক ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবেও ছিলেন সদাব্যস্ত। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এরপর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ একডালিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে একডালিয়া এভারগ্রীন ক্লাব হয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।
কালীপুজোতে আলোর উৎসব চলাকালীনই বাংলার রাজনীতিতে নেমে আসে অন্ধকার। বৃহস্পতিবার রাত ৯.২২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা রাজ্যের অন্যতম দক্ষ প্রশাসক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সারাজীবন রাজনীতির সঙ্গেই জড়িয়ে ছিলেন।