শুভেন্দুর সভার জবাব দিতে নন্দীগ্রামে মীরজাফরের কথা স্মরণ করালেন ববি

কলকাতা ব্যুরো: শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চ থেকে একবারও নন্দীগ্রামের আন্দোলনে তার ভূমিকা নিয়ে নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার বিকেলেই সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসু, ববি হাকিম বললেন, নন্দীগ্রাম আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন বলে চিহ্নিত করেন। তারা জানিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বাদ দিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হতে পারে না।

আবার কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম নাম না করে মীর জাফররা আগেও ছিল এখনো আছে তাই মীরজাফরদের থেকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন তৃণমূল নেতা। আবার একই সঙ্গে সতর্ক করে দিতে বললেন, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করতে চাওয়ার চক্রান্ত করার অর্থ, বিজেপির হাত শক্তিশালী করা। তাহলে এ রাজ্য যোগী রাজ্যের মত অবস্থা হবে।

কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী কারো নাম করনা করে বলেছিলেন, আমি আকাশ থেকে নেমে আসিনি আমি আন্দোলনের থেকেই উঠে এসেচি। এদিন ফিরহাদ হাকিম যেন সেই প্রসঙ্গে টেনেই বললেন, আমরা কেউই আকাশ থেকে এরোপ্লেনে করে আসিনি আমরা পথ দিয়েই নন্দীগ্রামে এসেছি। এমনকি তারা জানিয়ে দিলেন, গত ১৩ বছর ধরে নন্দীগ্রামে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান হয়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা থাকে। তার ছবি থাকে। কিন্তু এবার তা ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই তাদের পৃথক সভা করতে হচ্ছে।

ফিরহাদ হাকিম বেশ চাঁচাছোলা ভাবেই জানিয়ে দেন, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বীকার করে তৃণমূল করা যায়না। এমনকি যারা ভাবছেন নিজেই সব করেছেন, তাদের সেই অহং ত্যাগ করার পরামর্শ দেন ফিরহাদ হাকিম।

এদিন সকালে শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কোট করেছিলেন। আর বিকেলে তার জবাব দিতে ফিরহাদ হাকিম একইসঙ্গে টেনে আনলেন রবীন্দ্রনাথ- নজরুলকে। দুপক্ষই সেয়ানে সেয়ানে যে চলছেন বুঝিয়ে দিলেন দুজন দু পক্ষই। এদিন সকালে নন্দীগ্রামের শহীদ দিবসের মঞ্চে হাজির ছিলেন বিধায়ক ফিরোজা বিবি। এদিন বিকেলে তৃণমূলের সরকারি অনুষ্ঠানে মঞ্চে তাকে দেখা গিয়েছে।