কলকাতা ব্যুরো : তবে কি জল মাপছেন শুভেন্দু ? শেষ হয়েও যেনো হচ্ছে না শেষ। জল্পনা উস্কে শেষে স্পিকটি নট। রামনগর সভা থেকে বলার কিছু ছিল কিন্তু বলা গেলো না। যা বলা গেলো তা হলো ” দল ও তারায় নি আমি ও যায় নি।” দল তাড়ানোর অপেক্ষা করছেন কি তাহলে ? নাকি দল ছাড়ার ? তার কথাতেই স্পষ্ট। আমি এখনও একটা দলের সদস্য। প্রাইমারি মেম্বার। একটা মন্ত্রী সভার সদস্য। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের অন্দরে থেকে বলা যায় না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি জল মাপছেন শুভেন্দু। কোন দলে বেশি ফায়দা এ তো নেতাদের মাপটেই হবে।
আজ অনেক জল্পনা ছিল নানা মহলে তার দলের মধ্যে থাকা না থাকা নিয়ে। জল্পনা জিইয়ে রাখলেন এই ” পান্তা খাওয়া গামছা পরা মেদিনীপুরের নেতা”। বলে গেলেন শুধু সব কিছুর একটা স্থান , কাল , পাত্র আছে। কিছুদিন আগে তার বাড়িতে প্রশান্ত কিশোর এসেছিলেন তার দল থেকে বেরোনো রুখতে। তার সঙ্গে দেখা না হলেও কথা হয়েছিল শিশির অধিকারীর সঙ্গে। কতটা সফল হলেন প্রশান্ত কিশোর। সে জল্পনা ও ভবিষ্যতের জন্য তুলে রেখে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের জন্য তার বার্তা, অনেকেই টি আর পি বরাবর জন্য এসেছেন। কিন্তু সব জায়গায় সব কিছু বলা যায় না। তাহলে বলার কি সুযোগ , সময় খুঁজছেন তিনি।
তিনি দাবি করেন বসন্তের কোকিল নয় তিনি। সব সময় মানুষের পাশে থাকেন। ঝড় – জলে বিপদে আপদে সঙ্গী তিনি মানুষের। আবার বলেন মতবিরোধ হতে পারে। মতবিরোধ থেকে বিচ্ছেদ ও হতে পারে। আবার ইঙ্গিত দেন এই কথায়। এদিকে তৃণমূল শুভেন্দু কে দলে ধরে রাখার জন্য মরিয়া। ইন্দিরা গান্ধীর ছবি মঞ্চে রেখেই বা কাকে বার্তা দিলেন আজ শুভেন্দু। শুধুই কি ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন? না কি এর ও গুরহ তাৎপর্য আছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী দরজা খোলা রাখলেও , এবারে কংগ্রেসের জোট বামেদের সঙ্গে। আর শুভেন্দু র ইমেজ আবার বাম বিরোধী। সে জুতোয় পা গলাবার নেতা শুভেন্দু নন। বাকি থাকে বি জে পি বা নিজের আলাদা দল গড়ে বি জে পি কে বাইরে থেকে সমর্থন করা। কি করবেন – সেটাই ভাবছেন তিনি। উত্তর ভবিষ্যতেই দেবে। তবে ভাইপোর ওপর তিনি যে মোটেই খুশি মন টা স্পষ্ট করলেন আজ। জানান নির্বাচনে জিতে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন। অর্থাৎ কারো দোয়ায় নির্ভর নন তিনি। তবে ? ঝোপ বুঝে কোপ মারার অপেক্ষা শুধু ?