কলকাতা ব্যুরো: রাত যত বাড়ছে, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঝড়ের গতি। একই সঙ্গে বাড়ছে বৃষ্টির ধারা। বঙ্গোপসাগর লাগোয়া একদিকে জুনপুট, বাকিপুর, শংকরপুর, অন্যদিকে সাগর, বকখালি এলাকায় হাওয়ার দাপট এতটাই তীব্র হচ্ছে, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। কোথাও বিদ্যুৎ যাচ্ছে, আর আসছে। এরই মধ্যে সাগর কপিল মুনি আশ্রম লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা ফোনে জানাচ্ছেন, রাত বাড়তেই ঝড় এতটাই বাড়ছে যে মাঝরাতে অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে এখন থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু লোককে এই রাতে নিরাপদ জায়গায় নতুন করে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
বুধবার ভোর থেকে ভরা কোটাল। ফলে সমুদ্র, নদী গুলিতে জলোচ্ছ্বাস হবে। আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার লাগোয়া সমুদ্রের এক থেকে দেড় মিটার জল উপরে উঠবে। একইসঙ্গে নদীগুলিতেও জল বাড়তে থাকবে। ইতিমধ্যেই সাগরের বোট খালি, কচুবেড়িয়া, কুলতলির বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।
রাতেই সেইসব এলাকায় ব্লক এবং সেচ দপ্তরের কর্মীরা পৌঁছে পরিস্থিতির খবর নিচ্ছেন। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই অবস্থায় কিছু গ্রামবাসীকে এই রাতেও বৃষ্টির মধ্যেই নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কেননা যেভাবে রাতে হাওয়ার গতিবেগ বাড়ছে তাতে নদী কিছু দূরেও এলাকায় বাড়িগুলোতে থাকতে গিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারাও। এই রাতেই পুলিশ তাদের নিরাপদ শেল্টারে সরিয়ে দিয়েছে। যদিও বুধবার সকালে পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম হচ্ছে না গ্রামবাসীদের। তাদের কথায়, যশ এবং ভরা কটাল এর জোড়া ফলায় আবার আইলার ক্ষতির আশংকায় প্রমাদ গুনছে বাসিন্দারা।