কলকাতা ব্যুরো: বীরভূমের এক বাসিন্দাকে জেরার পর ঝাড়খন্ডের দুমকায় বেআইনি অস্ত্র কারখানায় হানা দিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করলো বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। এক মহিলা-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ওরফে মুকুল ওরফে মকবুল নামে বীরভূমের বাসিন্দা এক যুবককে মধ্য কলকাতার ধর্মতলা থেকে এসটিএফ গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই দুমকার মুফসসিল জেলার সরুবা গ্রামে বেআইনি অস্ত্র কারখানাটির হদিশ মেলে। সেখান থেকে ২৫টি ‘মুঙ্গেরি’ সেভেন এমএম পিস্তল, ৫০টি অস্ত্রের কাঠামো, ৬টি লেদ মেশিন উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা মুঙ্গেরের বাসিন্দা। তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হতে পারে। ফের বিহার থেকে কলকাতায় অস্ত্র পাচারের প্রমাণ মিললো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বীরভূমের বগটুই কাণ্ডের পর থেকেই বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের বিশেষ জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারও হচ্ছে দুষ্কৃতী। এবার সরাসরি অস্ত্র তৈরির কারখানা ও পাচার চক্রের সাগরেদদের হদিশ মিলল। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে চলছে তল্লাশি। লাগাতার উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্র। গ্রেপ্তার হচ্ছে দুষ্কৃতীরা। একইভাবে শুক্রবার রাতে বাসন্তি থানা এলাকায় চলে ধরপাকড়। সেখানে প্রচুর অস্ত্র-সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে খবর।
এদিকে নিউটাউন এলাকা থেকেও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে এয়ারপোর্ট থানা সূত্রে খবর। তার কাছ থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, নিউটাউন এলাকায় এক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে বলে অভিযোগ পায় পুলিশ। সেই খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে। তার পর শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।