কলকাতা ব্যুরো: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা যাবে না। এই বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে হবে। জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করলো প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে পরীক্ষায় নকল বন্ধ করতে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে প্রশাসন ও মাধ্যমিক বোর্ড। যেহেতু পরীক্ষা হলের ভেতরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না।

এ দিনের শুনানির শুরুতেই রিপোর্ট জমা দেয় বোর্ড ও সরকার পক্ষ। রিভিউ কমিটির বৈঠকের পর রিপোর্ট দিল সরকার। শুনানিতে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, গতবারের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিভিন্ন জায়গায় হোয়াটস অ্যাপ-এর মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছিল। এবারের যে যে জায়গায় নেট বন্ধ হয়ছে সেই জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের হার অনেক বেশি ছিল। তাই ওই জেলাগুলিতে কিছু কিছু জায়গায় পরীক্ষার সময় টুকু বন্ধের সিধান্ত নিয়েছে সরকার। রিভিউ কমিটির বৈঠক হয়।

ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে ও ভবিষ্যত প্রজন্ম শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধরে রাখতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরীক্ষা বন্ধ হয়। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত নয় এরকম পড়ুয়াদের জীবন শেষ হয়। তাই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হলেও ভয়েস কল ও ম্যাসেজ বহাল আছে।

এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া মানা। তবে তারা ইন্টারনেট ব্যাবহার করবে কি করে? রাজ্য সরকার প্রশ্ন তৈরি করলে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বও রাজ্যের। এরপরই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, এরআগে কোনদিনও ইন্টারনেট বন্ধ প্রয়োজন হলো না, এখন কেন? রিভিউ কমিটির কাজ কী? তারা বুঝেছেন না জন জীবন ব্যাহত হচ্ছে।

মাধ্যমিকের জন্য ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের ৮টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় রাজ্য। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেলা ১১টা থেকে বিকেল সওয়া ৩টে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এই আট জেলার মধ্যে রয়েছে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। রাজ্যের আট জেলার জন্য আলাদা করে এই নিয়ম কেন লাগু হল, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version