কলকাতা ব্যুরো: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের দশ দিন ৷ এখনও ইউক্রেনে আটকে পড়া সমস্ত ভারতীয়কে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি ৷ ইউক্রেন সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় বহু পড়ুয়া এখনও আটকে রয়েছেন, খাবার পাচ্ছেন ৷ পানীয় জল পাচ্ছেন না ৷ ভারতীয় দূতাবাস থেকে কোনও রকম সাহায্য করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছেন তাঁরা ৷ কষ্টে-ক্ষোভে ইউক্রেনে সুমিতে আটকে পড়া পড়ুয়ারা বলতে বাধ্য হলেন, আমাদের মধ্যে কারও কিছু হলে ভারত সরকারের ‘মিশন গঙ্গা’ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে ৷
রাশিয়া-ইউক্রেন দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসে ভারতীয়দের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ৷ দুই সরকার সাময়িক যুদ্ধবিরতি রেখেছে ৷ যাতে আটকে থাকা ভারতীয়রা দেশের ফিরতে পারে বা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায় তাঁদের ৷
সুমিতে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা শেষ ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, গত দশ দিন তাঁরা প্রতি মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন ৷ খাবার-পানীয় জল কিছুই পাচ্ছেন না ৷ তাঁরা ইউক্রেন সীমান্তের ৬০০ কিমি দূরে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ৷ তাঁদের মধ্যে একজন বলতে শোনা যাচ্ছে, আমরা সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া ৷ আমরা কোনও প্রকার সাহায্য পাচ্ছি না ৷ প্রতি মুহূর্তে বোমা-গুলির শব্দ শুনছি ৷ রাস্তায় হামলা চলছে ৷ ভারত সরকার, ভারতীয় দূতাবাস থেকে কোনও প্রকার সাহায্য করছে না ৷ আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাদের সাহায্য করুন ৷ রাশিয়া মানবিক করিডরের সুযোগ দিয়েছে ৷ তারপরও কিছু হচ্ছে না ৷ আমাদের কারও কিছু হলে মিশন গঙ্গা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হবে ৷
পরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব অরিন্দম বাগচি টুইটে লেখেন, আমরা ইউক্রেনের সুমিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ করিডর তৈরিতে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় সরকারকে দৃঢ়ভাবে চাপ দিয়েছি।