কলকাতা ব্যুরো: ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু করতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল নির্বাচন কমিশন। চার পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য রাজ্য পুলিশের ৯ হাজার বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৮ হাজার ৫০০ বাহিনী ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকছে। বাকি ৫০০ বাহিনী নাকা চেকিং-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। শুধু সশস্ত্র বাহিনী থাকছে ৫ হাজার ৫৫৭।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র প্রহরী এবং লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবে। আসলে চার পুরনিগমের নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য রাজ্য পুলিশেই ভরসা রেখেছে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীরা বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে আমল দেয়নি। কিন্তু বিধাননগর, চন্দননগর, শিলিগুড়ি এবং আসানসোলের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জের বিষয়। বিশেষ করে আসানসোল এবং শিলিগুড়ির মতো এলাকায়।

আসানসোল রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরনিগম হওয়ার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড লাগোয়া। আর শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং তৃণমূল একে অপরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। লড়াইয়ে রয়েছে বাম-কংগ্রেসও। কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর বা চন্দননগরেও ভোটে অশান্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

বস্তুত, কলকাতা পুরনিগমের মতোই এই চার পুরনিগমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কমিশন। যদিও হাজার নিরাপত্তা সত্ত্বেও কলকাতার পুরভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ এসেছিল বিরোধী শিবিরের তরফে। আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগরে যাতে সেটুকুও না হয়, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন দুই শিবিরই কোমর বেঁধে নামছে।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চার পুরনিগমের ভোটের দায়িত্বে থাকবে মোট ৯ হাজার বাহিনী। প্রত্যেকটি বুথকেই স্পর্শকাতর বুথ ধরে নিয়ে এগোচ্ছে কমিশন। সব ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র প্রহরী এবং লাঠিধারী কনস্টেবল যেমন থাকছেন, তেমনি ভোটকেন্দ্রের বাইরেও কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। চার পুরনিগমে থাকছে মোট ৭৭টি নাকা টিম। কুইক রেসপেন্স টিম থাকছে ৪৪টি। ৭৭টি আরটি টিম মোতায়েন করা হবে। এদিন নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, বিধাননগর নিয়ে হাইকোর্টে মোট ১৮টা অভিযোগ ছিল। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে কমিশন আদালতে সব অভিযোগের জবাব দিয়ে দিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version