কলকাতা ব্যুরো: জেলাশাসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। ২ মার্চ অর্থাৎ বুধবার পুরভোটের ফলপ্রকাশ, তাই আগামিকাল অর্থাৎ ১ মার্চ হবে ভোট। শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশ কলোনি যুব কিশোর সংঘ এবং দক্ষিণ দমদমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের লেক পয়েন্ট স্কুলের বুথে রিপোলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে।
প্রসঙ্গত, রবিবার ১০৮টি পুরসভার ভোটে প্রায় সব জেলাতেই বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বুথ জ্যাম থেকে শুরু করে বুথ দখল, ভোটারদের হুমকি দেওয়া, বিরোধী প্রার্থী ও এজেন্টদের মারধর করা, সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপর হামলার মতো নানা ঘটনা ঘটেছে রবিবার দিনভর। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পুলিস পুরভোটকে প্রহসনে পরিণত করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ১০৮টি পুরসভারই ভোট বাতিল করে ফের ভোটের দাবি জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। এত সবের পরেও কমিশন মাত্র দুটি বুথে ফের ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করায় বিস্মিত বিরোধীরা।
বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের দলদাস নির্বাচন কমিশনের কাছে এর থেকে আর বেশি কী আশা করা যায়। তবে পালটা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বামেরা আর বিজেপিই তো ইভিএম ভেঙেছে। ওদের বিষয়ে কিছু বলারই নেই।
রবিবার ভোটের পরই বিরোধীরা যেমন হিংসা এবং বুথ জ্যাম ও বুথ দখলের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন, তেমনি হিংসা নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। তিনি টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের সামনে খোলাখুলিই কমিশনের নিন্দা করে বলেন, তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্য গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতি আমার মানতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিস প্রশাসনের একাংশ এক পক্ষের হয়ে কাজ করেছে।
এরপর রাজ্যপাল সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে তলব করেন। তবে কমিশনার এদিন বিকেলে রাজভবনে যান। ঘণ্টাখানেক রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয় সৌরভ দাসের। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল কমিশনারকে জানান, কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ হয়েছে। হাওড়া পুরনিগমের ভোট না করানোর ক্ষেত্রেও কমিশন সাংবিধানিক দায় পালন করতে পারেনি।