কলকাতা ব্যুরো: এসএসসি নিয়ে যেন কিছুতেই জটিলতা কাটছে না। গ্রুপ ডি পদে প্রায় ছ শো জনের ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ আগেই সামনে এসেছে। এবার এসএসসি গ্রুপ সি পদেও নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ। মঙ্গলবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক এক মামলায় শুনানিতে এক কর্মীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে খবর, গ্রুপ সি পদে প্রায় ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এখন নতুন মামলায় অভিযোগ, অন্তত ৪০০ ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরেও। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বাসিন্দা মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেন, তাকে এসএসসি নিয়োগের সুপারিশ করলেও মধ্য শিক্ষা পর্ষদ চাকরি দিচ্ছে না। যদিও মামলা দায়েরের পরে তাকে চাকরি দায় পর্ষদ। এদিন তার মামলা উঠলে আদালত দেখে প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর তাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে এসএসসি। ফলে সঙ্গে সঙ্গে তার বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী। তার আগে নতুন দায়ের হওয়া ওই একই ইস্যুতে মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টায় যে ৪০০ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের নথি জমা দিতে হবে আদালতে। তাঁদের ৩৫০ জনকে ইতিমধ্যে নিয়োগপত্র বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়ে গিয়েছেন বলে খবর।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন এই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকেও সংশ্লিষ্ট মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
গ্রুপ ডি-এর পর গ্রুপ-সি পদেও ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চাপানউতোর। এদিকে এই ভুয়ো নিয়োগের ধরণ জেনে কার্যত বিস্মিত হয়ে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে এদিনের শুনানি শেষে এক মামলাকারীর বক্তব্য, আমরা ওয়েটিংয়ে ছিলাম। আমাদের কোনও র্যাঙ্কে পরিবর্তন হয়নি। তার পর তিন থেকে চারবার প্যানেল বেরিয়েছে। সেখানেও আমাদের র্যাঙ্কের কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পারি কোনও নিয়োগ হতে পারে। তার পর, আমরা মামলা করি। আজ যেটা জানতে পারলাম, আজ যে শুনানি হল, সাড়ে তিনশো জন মতো প্যানেল এক্সপায়ার হওয়ার পরেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে। সেটা আমাদের আইনজীবী বিচারপতির কাছে জমা দিয়েছেন।