এক নজরে

SSC: এসএসসি গ্রুপ-ডি’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে আপিল রাজ্যের

By admin

November 23, 2021

কলকাতা ব্যুরো: এসএসসি’র চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করলো এসএসসি কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির প্রায় পাঁচশো কর্মীকে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে এসএসসি’র নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই আপিল করা হয়েছে। বুধবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।

সোমবারই এসএসসি’র চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২১ ডিসেম্বর সিবিআইকে নিয়োগ দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। এনিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে আপত্তি করা হয়েছিল কিন্তু, সেই আপত্তিতে আমল না দিয়ে রায় বহাল রাখে আদালত। মঙ্গলবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গেলো সরকার।

মঙ্গলবার সকালেই ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় শুনানির আর্জি জানানো হয় কারণ হিসেবে এসএসসি’র তরফে বলা হয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী আগামিকাল বিকালে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তুলে দিতে হবে। তার আগে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানির আর্জি জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী। তাদের সেই আর্জি মেনে ডিভিশন বেঞ্চ বুধবারই মামলা শুনবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কপি আদালতে জমা করতে বলা হয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে।

প্রসঙ্গত, এসএসসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল নিয়োগের নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর, গ্রুপ ডি-তে একাধিক কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁরা কর্মরত রয়েছেন। এনিয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই সময় তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন নিয়োগের নথি নেই এমন ২৫ জনকে গ্রুপ ডি অর্থাৎ, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীপদে নিয়োগ করা হয়।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ২৫ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়েছিল আদালত। এমনকি, এসএসসির সচিবকেও তলব করা হয়েছিল। তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, এসএসসির তথ্যভান্ডারেও ওই ২৫ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি নেই। এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসি’কে ভর্ৎসনা করেছিলেন। যা নিয়ে কার্যত হুমকির সুরে আদালত জানিয়েছিল, কীভাবে ওই ২৫ জনের নিয়োগ হয়েছে? তা নিয়ে তথ্য দিতে না পারলে সিবিআই তদন্ত করাবে আদালত। এরপর ওই মামলায় এসএসসি’র তরফে যে নথি পেশ করা হয় তাতে দেখা যায়। ২৫ নয়, নিয়োগ সংক্রান্ত নথি নেই এমন পাঁচশো জনকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীপদে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগের নথি না থাকা কর্মীদের বেতন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।