কলকাতা ব্যুরো: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে ‘গরমিল’ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার বদলে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের সিট গঠন করে তদন্ত করা হবে। দু’মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাদের। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

আগেই সংশ্লিষ্ট মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর দু’সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগে গরমিল সংক্রান্ত সমস্ত নথি জমা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি চলাকলীন রাজ্যের আরজিই কার্যত মেনে নিল আদালত।

ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সাফ জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হবে। সেই দলে থাকবেন এসএসসির প্রতিনিধি আশুতোষ ঘোষ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধি পারমিতা রায় এবং হাইকোর্টের আইনজীবী অরুনাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামী দু’মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা করতে হবে তাঁদের। রিপোর্ট পাওয়ার পরই চূড়ান্ত রায় দেবে আদালত।

এদিকে সিবিআই তদন্ত খারিজ করার স্বপক্ষে ডিভিশন বেঞ্চের যুক্তি ছিল, সাধারণত রাজ্য সরকার যেসব মামলায় হাত গুটিয়ে বসে থাকে, সেসব ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্তের দরকার থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নিজেই তৎপর, তাই এখনই সিবিআই দরকার নেই। এই সিটের ব্যয়ভার বহন করবে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করে রাজ্য। সেই নিয়োগে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। শেষপর্যন্ত গত ২৩ নভেম্বর সেইসমস্ত অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার সেই তদন্ত খারিজ করে দিল আদালত। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version