কলকাতা ব্যুরো: তলব করা সত্তেও আদালতে উপস্থিত হলেন না স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে তাঁর চিকিৎসককে আদালতে তলব করলেন বিচারপতি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ৬ জন অঙ্কের শিক্ষককে বেআইনি নিয়োগ মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্য ও পূর্বতন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে বুধবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু অন্যান্যরা হাজির থাকলেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, দেবাশিস রায় নামের এক ডাক্তার তাঁকে দেখছেন। তাই তিনি হাজির হতে পারেননি। বুধবার শান্তি প্রসাদ সিনহার আইনজীবী একথা জানান আদালতকে। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন ডাক্তারকে ইমেল পাঠাতে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে। আদালতে অনুপস্থিত থাকলে আদালত ব্যাবস্থা নেবে। এমনকী মোবাইল ফোনেও তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যদি দেখা যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার শরীর অত্যন্ত খারাপ তাহলে তাঁকে প্রয়োজনেও অ্যাম্বুলেন্সে করেও আনতে হবে বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের ৬ প্রার্থীকে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। অভিযোগ, এদের প্রত্যেকের নাম ছিল মেধাতালিকার নিচের দিকে। তা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন আদালতে হাজির হয়ে জানিয়েছেন তাঁদের নাম সুপারিশ করা হলেও ওই চাকরিতে যোগ দেননি। কেউ প্রাথমিক স্কুলে, কেউ বেসরকারি কলেজে কাজ করছেন।
অন্যদিকে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্রাচার্য ও ফিরদৌস সামিম আজ আবার বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন অস্বীকার করলেও ভিতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যুক্ত না-থাকলে এই ভাবে সুপারিশ পত্র বের করা যায় না। এর যথাযথ তদন্ত হলেই আসল সত্য প্রকাশ পাবে। আগামিকাল সকালে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।