কলকাতা ব্যুরো: তিন শিক্ষার বিচার নিয়ে রাজ্য কি এবার ত্রিফলা বিচারের মুখে? কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতিদের বিচারের নতুন সুচি দেখে এমন জল্পনা উঁকি মারছে আইনজীবিদের একাংশের মধ্যে। লাগাতার এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় শাসক আইনজীবিদের একাংশের বিরাগভাজন হয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী। তাঁর এজলাস থেকে ওই সংক্রান্ত মামলা সরানোর দাবিতে বয়কট করা হয়েছিল। তার মধ্যেও প্রায় ৭ টি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তিনি সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এখন নতুন সূচিতে তাঁর এজলাস থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মামলার বিচার সরানো হলেও তার কাছে গেলো প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার বিচারের ভার। আর রাজ্যে প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগের গুচ্ছ মামলা হচ্ছে এখন হাইকোর্টে। ফলে এবার সেই সব মামলায় ফের বিড়ম্বনা শাসকের বাড়ে কি না, প্রশ্ন তাই নিয়ে।

আবার কলেজে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হচ্ছে হাইকোর্টে। এখন থেকে এই মামলার বিচারের ভার বিচারপতি কৌশিক চন্দের। যাঁর প্রতি ঘোষিত অনাস্থা রাজ্যের শাসক দলের। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যার এজলাস থেকে নিজের ইলেকশন পিটিশন সরিয়ে নিয়েছিলেন। আবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা শাসকের কাছে অস্বস্তির কারণ। লাগাতার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত নির্দেশ ও বিরোধী দলনেতার রক্ষা কবচ গিয়েছে তার এজলাস থেকে। এখন তিনিই বিচারের দায়িত্বে রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার। ফলে রাজ্যের কাছে শিক্ষার এই তিন ভাগ তাদের তিন প্রশ্ন তোলা বিচারপতির এজলাসে আগামীতে বিচার হওয়ায় কাঁটার আঁচড় বাড়ার আশংকা করছেন আইনজীবীরা।

প্রাথমিক টেট পরীক্ষা না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়ে যাওয়া বহু মামলা এখন বিচারাধীন অন্য বেঞ্চে। সেই সমস্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গেলে সেক্ষেত্রে কি হবে তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বেশ কিছু মামলা চলছে হাইকোর্টে।

এতদিন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও অতিসক্রিয়তার মামলাগুলি শুনতেন বিচারপতি মান্থা। ইদানিং বেশ কয়েকটি মামলায় সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। শিক্ষা সংক্রান্ত তিনটি বিভাগের মামলা চ্যালেঞ্জ করা যাবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। এতদিন সেগুলি শুনতেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version