মৈনাক শর্মাহে ভ্রমণ প্রিয় বাঙ্গালী। বেড়ানোর নতুন স্পটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে হ্যাঁনয় বা হনুলুলু নয়, নয় প্যারিস কিংবা সুইজারল্যান্ড। এবার চলুন মহাকাশের ভাবছেন রসিকতা? মোটেই নয়। তবে এখনই কম খরচে পুষ্টিকর ভ্রমণের সুযোগ অন্তত চাইবেন না।সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৭ সালে মহাকাশ ভ্রমণ করে আসতে পারেন। হ্যা ঠিক শুনছেন মহাকাশ ভ্রমণ মাত্র ৩ দিনের প্রোগ্রাম। শুনে বিশ্বাস না হলেও ঠিক এমনই মহাকাশে ভ্রমণের লক্ষেই ৫ তারা হোটেল বানাচ্ছে অরবিটাল এসেম্বলি করপোরেশন নামক সংস্থা। হোটেলের নাম ভয়েজার স্টেশন। যা সম্পূর্ণ হবে ২০২৭ সালে।
পৃথিবীর থেকে ৫৫০ কিমি দূরত্বে তৈরি ওই হোটেলে থাকছে বেডরুম, জিম, স্পা র মত সুবিধে। তাছাড়া ব্যলকনিতে বসে দেখতে পারবেন পৃথিবী ও চাঁদকে। তাছাড়া স্থানীয় ভ্রমণ কেন্দ্র হিসাবে থাকছে মহাকাশ পরিক্রমণ অর্থাৎ মহাকাশচারির মতন আপনিও ঘুরতে পারবেন পৃথিবীর আশেপাশে। এই পুরো টুর প্রোগ্রামটির একটি প্রদর্শন ভিডিও তৈরী করেছে অরবিটাল এসেম্বলি করপোরেশন। অর তার পরেই কৌতুহল দেখা দিয়েছে দুনিয়াতে।
তবে এমনই মহাকাশে মহাকাশচারীদের থাকবার জন্য তৈরী হয় আন্তরজাতিক মহাকাশ স্টেশন। কিন্তু ভয়েজার স্টেশন মহাকাশ স্টেশনের তুলনায় একদমই আলাদা, দাবি ওই সংস্থার। অর্বিটর এসেম্বলি করপোরেশনর দাবি অনুযায়ী, তাদের তৈরি হোটেলে থাকতে পারবে ৪০০ পর্যটক। পৃথিবীর বাইরে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে না। আর সেই জন্যই ভয়েজার হোটেলে থাকবে কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। যার ফলে হোটেলে থাকা পর্যটকরা ৫ তারা হোটেলের মতই মহাকাশ ভ্রমণ উপভোগ করত পারবে। তাছাড়া সুরক্ষাকে মাথায় রেখে ৪৪ টি এমেরজেন্সি রিটার্ন মহাকাশ যানও মজুত থাকবে ওই হোটেলে।
এর আগেও রাশিয়ার রস্কোস্মস সংস্থার সহোগিতায় ডেনিস অ্যান্থনি টিটো নামক আমেরিকান ব্যাক্তি মহাকাশে ভ্রমণে প্রথম পর্যটক হিসাবে ইতিহাসের পাতায় নাম তোলেন। ওই ভ্রমনের জন্যে টিটো প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়। তবে মহাকাশ হোটেলে থাকতে ৩৩ কোটি খরচ হতে পারে। অর্থাৎ ৩৩ কোটিতে ৩ দিন মহাকাশ উপভোগ করার সুযোগ থাকছে। এবার আপনিই ঠিক করুন, টাটা, বিড়লা, আম্বানি না হয়েও কোনো কর্পোরেটের মাধ্যমে মহাকাশে একবার ঘুরে আসা যায় কি না।