কলকাতা ব্যুরো: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও উসকে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তাঁদের যে রাজনৈতিক আলোচনাই হয়েছে তা সাফ জানিয়ে দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বান্ধবী। আনুষ্ঠানিক ভাবে ফের তৃণমূলে কবে ফিরছেন দু’জনে? তা ‘সময় বলবে’ বলেই জানান তিনি।

একসময় তিনি দিদির অত্যন্ত পছন্দের ছিলেন। ‘প্রিয়’ কানন ছিলেন নয়নের মণি। তবে সুখের সেদিনে এতদিন ভাঁটা পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কানন দিদির সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন। গিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে পদ্মাসনে বেশি দিন বসতে পারেননি। মাঝের প্রায় দেড় বছর রাজনীতি থেকে দুরেই ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে বুধবারের বিকেল ৩.১৫ মিনিট সেই দূরত্ব যেন ঘুচিয়ে দিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢুকলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গী বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা সেখানে কাটালেন তাঁরা। ঘড়িতে তখন ৪.২০। নবান্নের নীচে নামলেন শোভন বৈশাখী। সবুজ কলার দেওয়া সাদা পাঞ্জাবীতে শোভন চট্টোপাধ্যায়। পাশে সবুজ শাড়িতে বৈশাখী। শোভন বললেন, বাংলায় কেউ অরাজনৈতিক আছেন? অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমি বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। ওনার আদর্শে চলতে পছন্দ করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ বাস্তবায়িত করা আমার দায়িত্ব।

পাশে দাঁড়িয়ে তখন মুচকি মুচকি হাসছিলেন বৈশাখী। মুহূর্তেই সংবাদমাধ্যমের ফোকাস কেড়ে নিলেন তিনি। বললেন, ভাই-দিদির আলোচনা হয়েছে। কিছু ব্যক্তিগত। কিছু রাজনৈতিক। অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে। অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। দিদির ইচ্ছামতো কাজ করতে পছন্দ করেন তাঁর ভাই শোভন।

তাহলে কি তৃণমূলে শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা? এই প্রশ্নের জবাবে বৈশাখী বলেন, অপেক্ষা করুন। ধৈর্য ধরুন। সব জানতে পারবেন। আর শোভন বলছেন, অনুমান করা সাংবাদিকদের কাজ। আপনারা অনুমান করে নিন আগামী দিনটা। তবে এদিন শোভন-বৈশাখীর এই নবান্ন-সফরের মাঝেই উঠে আসে রত্না প্রসঙ্গ। স্ত্রী রত্নার নাম শুনতেই ভ্রূ কুঁচকালেন শোভন। বান্ধবী বৈশাখীর সাফ জবাব, আমাদের মধ্যে রত্না নামটার কোনও গুরুত্বই নেই।