কলকাতা ব্যুরো: প্রথমবার ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে ছাড়াই হচ্ছে দীক্ষামঞ্জরীর সরস্বতী পুজো ৷ তাই সেই পুজোর তদারকির দায়িত্বে স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ মেয়ে সানার সঙ্গে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় লন্ডনে রয়েছেন ৷ সেখানে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছেন সানা ৷ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন ডোনা ৷ কিন্তু, তাই বলে তো দীক্ষামঞ্জরীর সরস্বতী পুজো বন্ধ হতে পারে না ৷ তাই আয়োজনের দায়িত্ব দীক্ষামঞ্জরীর ছাত্রছাত্রীরাই নিয়েছেন ৷ আর তাঁদের সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে রয়েছেন সৌরভ নিজে ৷ তবে, শনিবার রাতেই তিনি আমেদাবাদে উড়ে যাবেন ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজের জন্য ৷ এমনিতে সৌরভকে সরস্বতী পুজোয় পাঞ্জাবি পরিহিত অবস্থাতেই দেখা যায়। তবে এদিন অবশ্য তাঁর পোশাক ব্যতিক্রমী। সাদা টি শার্টের উপর সোয়েটার, পরনে নীল জিন্স।
রবিবার থেকে আমেদাবাদে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ ৷ কোভিড পরিস্থিতির জন্য আমেদাবাদের অধুনা নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে সবক’টি ম্যাচ ৷ যে ম্যাচ আয়োজনের বড় দায়িত্ব বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাঁধে ৷ তাই তিনি আজ রাতেই আমেদাবাদে উড়ে যাবেন ৷ কিন্তু, তাঁর আগে অন্য এক দায়িত্ব সামলে দিয়ে গেলেন মহারাজ ৷
দীক্ষামঞ্জরির পুজোর বিশেষত্ব এখানে সরস্বতী প্রতিমার পাশেই রাখা থাকে জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি। যেহেতু ওডিশী নৃত্য শেখানো হয় তাই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিমা এসে গিয়েছিল আগেই। ডোনার শিক্ষার্থীরাই আল্পনা এঁকেছেন। সকাল থেকে ফল কাটা-সহ পুজোর সবরকম কাজ করোনাবিধি মেনেই করেছেন সকলে মিলে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অঞ্জলি দিতে পেরেও তাঁরা খুশি। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পিতাও উপস্থিত ছিলেন। পুজোর শেষে সকলে জমিয়ে ভোগ খেয়েছেন। খিচুড়ি, ভাজা, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি, পাপড়, গুলাব জামুন ছিল ভোগের তালিকায়।
তবে শনিবার পুজোর দায়িত্ব পালনের পর, এবার আরও বড় দায়িত্ব ৷ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সফল আয়োজন করাই বিসিসিআই-এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৷ দর্শকশূন্য মাঠেই ম্যাচের আয়োজন হচ্ছে ৷ প্রথমে দর্শক প্রবেশের কথা থাকলেও, সম্প্রতি ভারতীয় দলের ৪ ক্রিকেটার এবং ৫ সাপোর্ট স্টাফ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ বোর্ড ৷