কলকাতা ব্যুরো: সোনারপুরের রাসায়নিকের কারখানায় আগুন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে প্রায় ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাতভর বৃষ্টিতে বানভাসি শহর। সোমবার সকালেও অব্যাহত বৃষ্টি। তারমধ্যেই ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দমকল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাজ পড়ার শব্দে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন, কারবালা মোড়ে জুতোর আঠা তৈরির কারখানা দাউদাউ করে জ্বলছে। আশেপাশে ঘনবসতি থাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রথমে ৩টি এবং পরে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন যায় ঘটনাস্থলে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের পর গার্ডেনরিচের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ জ্বলতে থাকে আগুন। টানা দুদিন ধরে চলে এই পরিস্থিতি। ১০ টি গুদাম সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবারের আগুন নেভাতে রবিবার সকালেও দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন নামাতে হয়। তবে কীভাবে আগুন লাগল তার কারণ অনুসন্ধানে সোমবার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দমকল মন্ত্রী। খতিয়ে দেখা হবে গোডাউনগুলির অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা।