কলকাতা ব্যুরো: আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন কিছু নতুন মুখ। সোমবার বিহারে মুখ্যমন্ত্রী সহ ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু চমকপ্রদ ভাবেই এই মন্ত্রিসভায় বিজেপি রাখেনি বিহারে তাদের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা সুশীল মোদিকে। গত প্রায় দেড় দশক ধরে বিভিন্ন সময়ে তিনি ছিলেন বিজেপি তরফে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে তাকে মন্ত্রিসভায় না রাখায়, সে কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ঠাঁই পাচ্ছেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আগামী বছর এরাজ্য ছাড়াও, অসম বিধানসভায় ভোট রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রাজ্যগুলি থেকে আরো কয়েকজনকে পাঠিয়ে ভোটে তার ফায়দা তুলতে পারে বিজেপি, এমনই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
আগে থেকে বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও দেবশ্রী চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এ রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। কিন্তু আগামী বছর যে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিজেপির নজর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে। এখানে যে লড়াই হবে প্রায় সমানে সমানে, তা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির থিঙ্ক ট্যাংক। ফলে দলের এখানকার হেভিওয়েট নেতাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে গিয়ে মোদী- অমিত শাহরা এখন থেকেই দলকে রাজ্যে বাড়তি অক্সিজেন যোগাতে পারেন। আর এই প্রভাব বাড়িয়েই বাংলাকে নতুন মন্ত্রী দেওয়ার পথে হেঁটেই, তৃণমূলের ওপর আরো চাপ বাড়াতে পারে বিজেপি। কিন্তু যে ১৬ সংসদ আছেন বাকি, তাদের মধ্যে দিলীপ ঘোষকে এখন সভাপতি হিসেবেই দায়িত্বে রেখেছে দল। ফলে লকেট চ্যাটার্জির মতো দ্রুত উঠে আসা কাউকে মন্ত্রিসভায় শেষবেলায় রাজ্য থেকে জায়গা দিয়ে মাস্টার্স স্ট্রোক বিজেপি দেয় কি না, সেদিকে তাকিয়ে আছে অনেকেই।
বহু বিতর্কে জড়িয়ে থাকলেও অসমে হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বিজেপির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। সেখানেও আগামী ভোটে ভালো ফল করতে মোদির দল বিশ্বশর্মাকে মন্ত্রী সভায় জা য়গা দিতে পারে। মধ্যপ্রদেশে সদ্য হয়ে যাওয়া উপনির্বাচনে ২৮ টির মধ্যে ১৯ টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। আর এই জয়ে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তার জায়গা পাওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল।
আগামী বছরে আসাম ছাড়াও এ রাজ্যের সঙ্গেই তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কেরালা বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই একেবারে শেষ মুহূর্তে এই রাজ্যগুলো থেকে প্রতিনিধি হিসেবে অন্তত একজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাঠিয়ে শেষ অ্যাডভান্টেজ নিতে পারে বিজেপি।