কলকাতা ব্যুরো: বৃষ্টি থামলেও বানভাসী পরিস্থিতির উন্নতি এখনও হয়নি। আর তার জেরেই তৈরি হয়েছে মৃত্যুফাঁদ। এবার জমা জলই প্রাণ কাড়ল ৬ বছরের শিশুর। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। ৬ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

একে তো নাগাড়ে বৃষ্টি, তার উপর রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে ডিভিসি থেকে ছাড়া জল এবং মুকুটমণিপুরের জলাধার থেকে উপচে আসা কংসাবতীর জল বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সুতরাং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোণা–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বানভাসী অবস্থা। এখানে বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। পাকা বাড়িতে ঢুকেছে জল। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে জল ভেঙেই বেরোচ্ছেন মানুষজন। এখানকার সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেতা দেব। এখানেই ঘূর্ণিঝড়ের পর হাল–হকিকত দেখতে এসেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ–অভিনেতা।

জানা গিয়েছে ‌ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনেই ঘটেছে মর্মান্তিক মৃত্যু। ঘাটাল ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার গম্ভীরনগরের চানক পরিবারের ৬ বছরের শিশুটির নাম সৌমজিৎ। সামান্য জলেই উঠোনে খেলাধুলা করছিল সে। নিষ্পাপ শিশুটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই উঠোনের জলস্তর বেড়ে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে। দেখতে পায় গাছের তলায় আটকে রয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে ৬ বছরের শিশুটি। বাড়ির সদস্যরা ডাকাডাকি–কান্নাকাটি করলেও চোখ খোলেনি শিশুটি।

প্রসঙ্গত, ঘাটালের ১২টি ব্লক এখনও জলবন্দি। চন্দ্রকোণায় শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে রাজ্য সড়ক। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। মর্মান্তিক পরিণতিতে বাকরুদ্ধ মা–বাবা এবং আত্মীয় পরিজনরা। এই ঘটনার পর ডিভিসি–কে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌মাঝরাতে যদি জল ছাড়ে, তাহলে ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষ মরে যাবে। এটা পাপ, অন্যায়।’‌

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version