কলকাতা ব্যুরো: কার্নিভ্যাল উপলক্ষে সেজে উঠেছিল শহর। রবিবারের ছুটিতে বাসিন্দারা সবে কার্নিভ্যালমুখী হচ্ছিলেন। রাস্তায় ভিড় বাড়ছিল একটু একটু। আনন্দের রেশ ভালভাবে পড়তে না পড়তেই আবহ কেটে গেল। বেলজিয়ামের স্ট্রেপি-ব্র্যাকোয়েঞ্জিস শহরে ভিড়ের মাঝেই তীব্র গতিতে চলন্ত গাড়ি ঢুকে পড়ল। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হলো কমপক্ষে ৬ জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে নাশকতার ছক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

করোনা কালে বন্ধ ছিল সমস্ত আনন্দ-উৎসব। এতদিন পর মহামারীর প্রকোপ কমায় কার্নিভ্যালের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বেলজিয়ামবাসী। রাজধানী ব্রাসেলসের ৫০ কিলোমিটার দূরে স্ট্রেপি-ব্র্যাকোয়েঞ্জিস শহরে কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়। রবিবার সকাল থেকেই নানা রঙে রঙিন হয়ে প্যারেডের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাসিন্দারা। প্রায় দেড়শো মানুষের পদযাত্রার কথা ছিল। বেশ উৎসবের আবহ ছিল এলাকায়।

কিন্তু তার মাঝেই বড়সড় দুর্ঘটনা। আচমকাই প্যারেডের মাঝে গতি নিয়ে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। ঘটনাস্থল থেকে একে একে ৬ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকিদের পাঠানো হয় হাসপাতালে। জখমের সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও, তা পঞ্চাশের বেশি বলে অনুমান পুলিশের। চালক-সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পুলিশের জিপের তাড়া খেয়েই ওই গাড়িটি এত গতিতে ভিড়ের মাঝে ঢুকে পড়েছিল। আর এখানেই খটকা।

কেন পুলিশের গাড়ি তাড়া করলো? তবে কি এর নেপথ্যে নাশকতার ছক ছিল? যদিও স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র ক্রিস্টিনা ল্যানোকো সাফ জানিয়েছেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা, খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কীভাবে তা ঘটল, তার তদন্ত করে দেখছি। তবে নাশকতার যোগ নেই এতে।” এদিন বিকেলেই স্ট্রেপি-ব্র্যাকোয়েঞ্জিসে যাওয়ার কথা কিং ফিলিপ ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু’র। তবে এই দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁদের সফর বাতিল হয়েছে।