এক নজরে

Municipal Election: হাওড়াকে ছেড়ে রাজ্যের ৪ পুরনিগমে নির্বাচন ২২ জানুয়ারি

By admin

December 27, 2021

কলকাতা ব্যুরো: নতুন বছরের প্রথম মাসেই রাজ্যের চার পুরনিগমে নির্বাচন হবে। আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমে ভোট হবে। সোমবার এই ভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। তারপরই এই চার পুরনিগমে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন তিনি।

তবে, হাওড়া পুরনিগমের ভোট নিয়ে এ দিনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কবে হতে পারে হাওড়া পুরনিগমের ভোট? এ প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার কমিশনকে জানিয়েছিল ২২ জানুয়ারি পাঁচটি পুরনিগমে ভোট করতে রাজি আছে তারা। কিন্তু এ নিয়ে এখনও চূড়ান্তভাবে রাজ্যের তরফে কমিশনকে কিছু জানানো হয়নি। ফলে শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমে ভোটের দিন ও সূচি ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যপাল হাওড়া পুর বিলে সই করলে আগামী ২২ জানুয়ারিই ভোট হতে পারে।’

শিলিগুড়ি, চনন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমেশিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর পুরনিগমে ২২ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মনোনয়ন জমার দিন মঙ্গলবার থেকেই শুরু। ৩রা জানুয়ারি মনোনয়ন জমার শেষ দিন। ৪ জানুয়ারি মনোনয়ন দাখিলকারীদের আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। ৬ তারিখ প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন। পুনর্নির্বাচনের দাবি থাকলে তা ২৪ জানুয়ারি হবে। ২৫ জানুয়ারি হবে গণনা।

কলকাতা পুরভোটে আদালতের নির্দেশে সব বুথে সিসিটিভি কার্যক ছিল। কিন্তু হিংসা, ভোট লুঠ এড়ানো যায়নি বূলে অভিযোগ বিরোধীদের। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। আগামী চার পুরনিগমের ভোটেও সব বুথে সিসিটিভি-র নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে আগামী ৪টা জানুয়ারি কমিশনের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক রয়েছে। আজ থেকেই ওই চার পুরএলাকায় চালু হল আদর্শ আচরণবিধি।

এদিন পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সর্বদল বৈঠক ছিল। মাঝপথে সেই বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে যায় সমস্ত বাম শরিক দল। অন্যদিকে কংগ্রেস, বিজেপিও এই বৈঠক বয়কট করে সোমবার। এদিন ১১১টি পুরসভার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল যাতে এক চেটিয়া ভোট করতে পারে সেই কারণে এই ভাবে নির্বাচন করতে চাইছে।

বিজেপির বক্তব্য, হাওড়া পুরসভাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই তারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে বামেদের বক্তব্য, পাঁচটা পুরনিগমের ভোট একসঙ্গে ২২ জানুয়ারি হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে চারটে পুরনিগমে ভোট হবে। হাওড়াকে বাদ রাখছে কমিশন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই এদিনের বৈঠকই বয়কট করে তারা।