কলকাতা ব্যুরো: মাঝ রাতে জেলে অসুস্থ হাওয়ায় ভোরেই মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। উদ্বার্ন ওয়ার্ডে তাদের দুজনকেই অক্সিজেন দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগেই করোনা য় অসুস্থ হয়েছিলেন মদন মিত্র।
কলকাতা হাইকোর্ট গভীর রাতে নারদ মামলায় চার অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীর জামিনের আবেদন সাময়িক খারিজ করার পর, গভীর রাতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। সেসময় ববি হাকিম অবশ্য সুবিচার পাওয়ার জন্য বিচার বিভাগের উপরেই ভরসা রেখেছেন। একইসঙ্গে ববি তোপ দেখেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তার আশঙ্কা, এরপরে বিজেপি এনফর্সমেন্ট ডাইরেকটোরেট বা ইডিকে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হেনস্থা করবে। কিন্তু তিনি মনে করেন, বিচার বিভাগ থেকেই তিনি এবং তারা সুবিচার পেতে পারেন। তাই সকলকে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি নিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ববির আরো যুক্তি, প্রভাবশালী বা পরিচিতি হওয়ায় তার কোনো ভূমিকা নেই। মানুষের কাজ করার জন্য করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাকে প্রশাসক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাই এক্ষেত্রে মানুষের কাজ করার জন্যই তিনি সেই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার তদন্তকারীদের সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি করেন ববি।যদিও এর আগে ববির মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম অভিযোগ করেন, নিম্ন আদালত জামিন মঞ্জুর করার রায় ঘোষণার তিন ঘণ্টা পরেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তার বাবা সহ অন্যদের সিবিআই আটকে রাখে। এমনকি বারেবারে দিল্লি থেকে তাদের নির্দেশ আসছে বলেও সিবিআই অফিসার দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা। এই তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কি করে সিবিআই জানতে পারলো হাইকোর্ট থেকে রায় উল্টে যাবে তা নিয়ে তাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে ববির মেয়ে জনগণের ঠান্ডা মাথায় সাহায্য চেয়েছেন বাবার জন্য।