কলকাতা ব্যুরো: রাজমহল থেকে মালদা মানিকচক ঘাট আসার সময় অতিরিক্ত ভারী হওয়ায় লঞ্চ টাল সামলাতে না পেরে, সেই লঞ্চে থাকা আটটি পাথর বালি বোঝাই ট্রাক তলিয়ে গেল নদীগর্ভে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সূত্রের খবর, রাতেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন মালদার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।
প্রতিদিন বিহারের রাজমহল থেকে মালদা মানিকচক ঘাট পর্যন্ত একটি বড় জাহাজ যাতায়াত করে। সেই জাহাজে একদিকে যেমন যাত্রী পারাপার চলে, একইসঙ্গে গাড়ি পারাপার করে ওই বড় জাহাজের করেই। এদিন বিকেলের দিকে নিয়মমাফিক রাজমহল ঘাট থেকে জাহাজটি ছেড়েছিল আ ট টি মাল বোঝাই ট্রাক নিয়ে। ট্রাকগুলো ছাড়াও বেশ কিছু যাত্রীও তাতে উঠেছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ মানিকচক ঘাট এর কাছে এসে আর টাল সামলাতে পারেনি জাহাজটি। জাহাজের একটা দিক জলের দিকে নেমে যায়। আর তাতেই হুড়মুড়িয়ে আটটি ট্রাক তলিয়ে যায় গঙ্গায়। অন্তত ১০ জন গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে রাতেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে না গেলেও, এতগুলি ট্রাক গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে।
নিখোঁজদের সন্ধানে রাতে তল্লাশি শুরু হলেও আলোর অভাব ও প্রবল ঠান্ডার কারণে বেশিক্ষণ তল্লাশি চালানো যায়নি। তবে কাল, মঙ্গলবার ভোর থেকে ব্যাপক তল্লাশির জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে ট্রাকগুলো ডুবেছে সেগুলিতে রাজমহল থেকে পাথর এবং বালি বোঝাই করে মানিকচক ঘাট যাওয়ার সময় খুব ভারি ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, প্রতিদিন ট্রাক নিয়ে লঞ্চ পারাপার করলেও এদিন অতিরিক্ত মাল বোঝাই থাকায় তার ভার আর সামলাতে পারেনি জাহাজটি।
সংগঠনের কাজে এদিন মালদাই ছিলেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। মানিকচক এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ও সিপিএমের জেলা সহ-সম্পাদক অম্বর মিত্র সহ বেশ কয়েকজন নেতা রাতেই ঘটনাস্থলে যান। প্রশাসনের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।