কলকাতা ব্যুরো: শান্তিনিকেতনের মেলা মাঠে পাঁচিল গড়া এবং ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে গোলমালের পর হাইকোর্টের গোটা বিষয়টি নিয়ে স্বপ্রণোদিত হস্তক্ষেপে এখন নতুন করে অসন্তোষের বুদবুদ উঠতে শুরু করেছে। চারদিক থেকে অসন্তোষ বাড়তে থাকায় আজ ফের মামলাটির শুনানি শুরু হবে হাই কোর্টে। রাজ্যের। তরফেও পাঁচিল ঘিরলে সেখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে আজ হাই কোর্টের মামলায় জানানো হবে।

শান্তিনিকেতনের গোটা গোলমাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে কলকাতা হাইকোর্ট চার সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছে। সেই কমিটি শান্তিনিকেতনে গিয়ে প্রথম দফায় বৈঠকের মধ্যেই মেলা মাঠে পাঁচিল ঘেরার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে। যার ফলে সোমবার থেকেই সেখানে পাঁচিল ঘেরা কাজ নতুন করে শুরু হয়েছে। কমিটির এমন আগাম সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ভালোভাবে দেখছে না বোলপুরের ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। এব্যাপারে ব্যবসায়ী সংগঠন মামলা করার ইঙ্গিত দিয়েছে।

এরইমধ্যে যার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রিন ট্রাইবুনাল ওই মাঠে পাঁচিল ঘেরার নির্দেশ দিয়েছিল, সেই পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত এবার মুখ খুলেছেন। তিনি হাইকোর্টের নিযুক্ত কমিটির পাঁচিল ঘেরার সিদ্ধান্তকে সঠিক পদক্ষেপ নয় বলে অভিহিত করে আজই হাইকোর্টের যাচ্ছেন। তার বক্তব্য, পরিবেশ আদালত যে মামলায় রায় দিয়ে ছিল, সেই মামলা আমি করেছিলাম। অথচ আমার সঙ্গে কোনো কথা না বলে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই কমিটি একপেশে ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো।

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জেড দস্তুর ও রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তক নিয়ে গড়া কমিটি দুদিন আগে শান্তিনিকেতনে গিয়ে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে ছিল। কিন্তু কমিটি আগে থেকেই মেলা মাঠ ঘেঁরার ব্যাপারে সম্মতি দিয়ে দেওয়াই তার বিরোধিতা করে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যায় বোলপুর ব্যবসায়ী সংগঠন। একইসঙ্গে শান্তিনিকেতনের আবাসিকদের একটা বড় অংশ এইভাবে কমিটির আগাম সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো চোখে দেখছে না। ফলে শান্তিনিকেতন নিয়ে ফের বড়োসড়ো গোলমালের রাস্তা তৈরি হচ্ছে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version