কলকাতা ব্যুরো: দ্বিতীয় সমনও এড়িয়ে গেলেন বলিউডের মেগাস্টার শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি। প্রমোদতরীর মাদকসংক্রান্ত ঘুষ মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়েছেন তিনি। মুম্বই পুলিশ তাঁকে তৃতীয়বার সমন পাঠাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২ অক্টোবর গোয়ার ক্রুজে মাদক পার্টি থেকে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর এক সাক্ষীকে পূজা ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আগেও শাহরুখ খানের ম্যানেজারকে সমন পাঠিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। তবে শারীরিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে প্রথম বারের সমনেও হাজির হননি পূজা। দ্বিতীয় সমনেও তিনি পুলিশের মুখোমুখি হলেন না। পুলিশের কাছ থেকে আরও কিছুটা সময় চেয়েছেন তিনি।
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। প্রমোদতরীর মাদক মামলায় এসেছে নানা মোড়। ২০ দিনেরও বেশি সময় জেলে থাকার পর বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আরিয়ান খান ও তাঁর বন্ধুরা ৷
শুরুতে এই মামলার তদন্তের নেতৃত্বে ছিলেন এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ আনেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক ৷ আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হয়েছিলেন এনসিবির সাক্ষী কেপি গোসাভি ৷ তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে নিজেকে দাবি করে প্রভাকর সেইল হলফনামা দিয়ে অভিযোগ করেছেন, কেপি গোসাভির সঙ্গে স্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির ১৮ কোটি টাকার একটি চুক্তি হয়েছিল ৷ তার থেকে ৮ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল সমীর ওয়াংখেড়ের ৷ নগদ টাকা গোসাভির হাত থেকে পেয়ে স্যামের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন প্রভাকর ৷ এরপরই এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব সমীর ওয়াংখেড়ের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিশেষ তদন্তকারী দলের উপর ৷
মাদক মামলায় এখনও পর্যন্ত ২ জন নাইজেরিয়ান-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷